ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মতিঝর্ণার পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান বাধার মুখে, উত্তেজনা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

 চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান বাধার মুখে পড়েছে। সকাল ১১ টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে নগরীর বাটালিহীল এলাকায় অভিযান শুরু হয়।  কয়েকটি কাঁচা বসতবাড়ীর টিন বেড়া এবং বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়ার পর তোপের মুখে পড়েন জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ টিম।

উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয় নারীরা বিক্ষোভ শুরু করে। উচ্ছেদে দায়িত্বরত পুলিশের নারী কনস্টেবলদের সাথে বাকবিতন্ডা করতে থাকে। এসময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনায় মতিঝর্ণার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের খাদে বসবাসকারীদের সরে যেতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে বসবাসরতদের মঙ্গলবারের (১০ এপ্রিল) মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছিল। নির্দেশনার পরেও তারা সরে যায়নি। তাদের উচ্ছেদ করতে অভিযান চলছে।

.

এসময় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত জাহানারা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, আমরা তো এখানে ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে থাকি। বর্ষা আসলে আমরা সতর্ক থাকি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসার আগে ম্যাজিস্ট্রেট এসে আমাদের উচ্ছেদ করতে চায়। আমরা এসব মানবো না।

স্থানীয়রা জানান, তারা বাসা ভাড়ার পাশাপাশি, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল দিয়ে থাকে। কোন অবৈধভাবে থাকে না। তাদেরকে কেন অবৈধ বলে উচ্ছেদ করছে।

এ সময় নগর পুলিশ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

.

এদিকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরে যেতে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। পাশাপাশি নগরীর পাহাড়গুলোতে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের উচ্ছেদে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন,আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সরকার কর্তৃক গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের নির্দেশনা অনুসারে মহানগরীসহ চট্টগ্রামের সকল উপজেলায় পাহাড়ের ওপর ও পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ-ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করেছে। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সরে না গেলে তাদের উচ্ছেদ করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৪ এপ্রিল পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর কর্তৃপক্ষকে পত্র পাঠানো হয়েছে।

.

পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধভাবে বসবাসরতদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করার জন্য নগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ জোবায়ের আহম্মেদ, পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হক মীর, সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মনসুর, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আকতার, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা মুস্তাফা এবং চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাব্বির রহমান সানিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত ৭ দিন আগে অবৈধ বসবাসকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সম্মলিত বিদ্যুত ,গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হলেও এ নিয়ে দপ্তরগুলো কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print