
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত বৈধ সরকারে কাছ থেকে এদেশের সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার আশা করা ভূল। সরকারের সব কটি বিভাগ ধংস হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ যেটুকু ন্যায়বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল ছিল আদালত এখন তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। পতেঙ্গা থানার ১১জন নেতা কর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে। তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে আমাদের সকল নেতাকর্মীদের কে মুক্তকরে আনবো।
তিনি ১১ই এপ্রিল দুপুরে আদালতে হাজিরা শেষে পতেঙ্গা থানার ১১জন নেতাকর্মীদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করলে তৎক্ষাণিক প্রতিক্রিয়ায় উপরোক্ত কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এই দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনিপর ৬৪জন নেতাকর্মী সহ সকল রাজবন্ধীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এই অবৈধ সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় আজ দেশের জনগণ বেসামাল হয়ে পড়েছে। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে। যেখানে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার সেখানে জাতিকে মেধা শূণ্য করার জন্য ৫৬% কোটা নির্ধারিত করেছে সরকার।
বিশ্বের কোন দেশে এত কোটা নেই। এই অবৈধ সরকার দলীয় লোক নিয়োগ দেওয়ার জন্য কোটা চালু করেছে। এখন দেশের কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। দলীয় কোটায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতায় এলে এই কোটো বৈষম্য দূর করা হবে।
এই সময় আইনজীবিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়্যা, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট মেরী আক্তার, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ আইনজীবি, দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনিপর সহ-সভাপতি মো: মিয়া ভোলা, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, নগর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব কামাল উদ্দীন, পতেঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ডা. নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক মো: সাহাব উদ্দীন, বিএনপি নেতা লোকমান, মো: ইলিয়াছ, হারুন কোম্পানী, নগর যুবদল নেতা আব্দু রাজ্জাক, নাজমুল হক নাজু, বিএনপি নেতা মঞ্জুর কাদের, আবু তাহের, নাছির উদ্দীন, মো: আমিন, মো: সায়েম, আব্দুল জলিল, জিয়াউর রহমান, মো: শফি, ফোরকান, মো: তৈয়ব, রাজু, পলাশ, সোহাগ প্রমুখ।