ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্মার্টফোনের মতো ‘স্মার্ট বাঁধ’

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

বন্যার পানি বেড়ে গেলে অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঁধ। বাঁধের ক্ষতির বিষয়টি আগে থেকে জানতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এই কথাটি মাথায় রেখে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি নতুন গবেষণা প্রকল্পে সেন্সর লাগানো বাঁধ তৈরির চেষ্টা চলেছে। সেন্সর লাগানো এই বাঁধের নাম দেয়া হচ্ছে স্মার্ট বাঁধ। এই বাঁধ বন্যা এলে নিজেই স্থানীয় বাসিন্দা ও বন্যাত্রাণ দপ্তরকে সাবধান করে দিতে পারবে। স্থানান্তরের পন্থাও জানিয়ে দিতে পারবে এই বাঁধ।

আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবার্ট মেইয়ের বললেন, আমার পায়ের তলার মাটির নিচে যে ৪৮টি সেন্সর আছে, সেগুলো আমাদের একটানা জানাচ্ছে, বাঁধটা কী রকম রয়েছে আর বাঁধের ভিতরে কী চলেছে। এই প্রযুক্তির ফলে এই বাঁধটি হয়ে উঠতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে ‘চালাক’ বাঁধ।

মূলত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি গবেষণা প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে এই আন্ডারগ্রাউন্ড সেন্সরগুলি উদ্ভাবন করা হয়েছে। সেন্সরগুলি যে শুধু মাপজোক করে, শুধু তাই নয়; একাধিক দেশে সেই তথ্য পাঠাতেও পারে। ইংল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত বস্টন শহর এই নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা করার একটা বিশেষ স্থান। কেননা এখানে জোয়ার-ভাটার সঙ্গে নদীর জল নাটকীয়ভাবে বাড়ে-কমে, যার ফলে যে কোন সময় বাসিন্দাদের বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে বাঁধটি।

যুক্তরাজ্যের পরিবেশ সংস্থার উপকূল উপদেষ্টা মার্ক রবিনসনের মতে, বস্টনে সাগরের পানি রোখার কিছু ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বাঁধগুলো খুব উঁচু নয়। কাজেই যখন জোয়ার আসে, তখন পানি বাঁধ ছাপিয়ে যেতে পারে। কাজেই ওটা একটা বড় ঝুঁকি।

গবেষণায় নিযুক্ত প্রযুক্তিবিদরা নানা ধরনের সেন্সর তৈরি করেছেন, যেগুলো নির্ভরযোগ্য ও সস্তা; কাজেই ভেজা মাটির বাঁধে এ ধরনের সেন্সর লাগানো যেতে পারে। এই সেন্সরগুলো বাঁধের মধ্যে পানি ঢুকলে সেই পানির পরিমাণ, মাটির নিচের তাপমাত্রা ও সেন্সরগুলোর নড়াচড়ার তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এই সেন্সরের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়া হলে তা সাথে সাথে চলে যাবে ডিভাইসে। বস্টন শহরের একটি কাফেতে বসানো টাচস্ক্রিনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষও দেখতে পারে প্রণালীটি কীভাবে কাজ করছে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তিবিদ আলেক্সান্ড্রা টপল বললেন, এই সেন্সর ডেটা বিশ্লেষণ করে বাঁধের স্থিতিশীলতা যাচাই করা যায়। বাঁধে যে সব পরিবর্তন ঘটছে, তা থেকে বাঁধ ভেঙে পড়ার আগাম সতর্কতা পাওয়া যায়। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ফলে সেন্সরগুলি বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা যাচাই করে সংশ্লিষ্ট পরিষেবাগুলিকে সতর্কতার নির্দেশ পাঠাতে পারে।-ডয়চে ভেলে

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print