
সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বজ্রপাতে ১০ জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবারের এসব ঘটনায় জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারায়ণগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, রাজশাহী, জামালপুর, পাবনা, মৌলভীবাজার, রাজবাড়ি, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ এবং নীলফামারী।
নারায়ণগঞ্জে বজ্রপাতে রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলায় এক স্কুলছাত্র ও একজন নারী এবং তিনজন কৃষকের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- সোনারগাঁয়ের মুসারচর গ্রামের ওবায়দুল হক (৪০), রূপগঞ্জ উপজেলার তেনতুলিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের স্কুল পড়ুয়া ছেলে ফরহাদ শেখ (১৩), কলাগাছার নুরজাহান বেগম (৬৮), তাওড়ার নুরুল হকের ছেলে কৃষক রফিকুল ইসলাম (৩৫) এবং ভেলাবের কামাল মোল্লার ছেলে হাশেম মোল্লা (১৫)।
সুনামগঞ্জে সকালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জামখোলা হাওরে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মো. ইয়াহিয়া (৪২) কানাইঘাট উপজেলার বড়চাতুল ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মো. ইলিয়াস আলীর ছেলে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. জাকির হোসাইন ইউএনবিকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ওই কৃষকের মৃত্যু হয়।
হবিগঞ্জে সকাল ১১টার দিকে সুক্তি নদীর কাছে ধানক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে জপু কর্নপাড়া এলাকার গাজি রহমানের ছেলে কৃষক শামসুল হকের (৩০) মৃত্যু হয়।
জামালপুরে সকালে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে শরিষাবাড়ি উপজেলার শামীরপাড় গ্রামের কৃষক হাসিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।
অপর ঘটনায়, সকাল ৯টার দিকে নৌকা করে যমুনা নদী দিয়ে নিজ জমিতে যাওয়ার সময় ইসলামপুর উপজেলার দক্ষিণ ছিনাদুলি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে বকুল মিয়ার (২৫) মৃত্যু হয়।
রাজশাহীতে সকালে মাঠের ফসলি জমিতে কীটনাশক প্রয়োগের সময় পুঠিয়া উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আরাজ উদ্দিনের ছেলে ইয়াকুব আলীর (৪০) মৃত্যু হয়।
পাশাপাশি, জেলার গোদাগাড়ি উপজেলার আয়নাপুকুর গ্রামের কৃষক বাবলু এবং শহরের মতিহার এলাকায় একজন ইট ভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি গ্রামে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে একটি আম গাছের নিচে দাঁড়ালে বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার উত্তরভাগ গ্রামে ধানক্ষেত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়।
নিহত তমিজ উদ্দিন (২৫) ওই গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। কিছুদিন আগে ওমান থেকে ছুটিতে বাড়ি আসে সে।
রাজবাড়িতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শস্যক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে বালিকান্দি উপজেলার দহগ্রাম গ্রামের মতু শেখের ছেলে আব্দুল মতিন শেখের (৪৫) মৃত্যু হয়।
কুমিল্লায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দলসমূদ্র এলাকার কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
নীফামারীতে দুপুর ১২টার দিকে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে জলঢাকা উপজেলায় কইমারী গ্রামের কৃষক আব্দুর রবের (৫৫) মৃত্যু হয়।
একই উপজেলার অপর ঘটনায় তালুকগল গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ভুলু মিয়ার (৩০) মৃত্যু হয়।