ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ক্ষুধা দারিদ্রতা আর নেই. বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি অন্যতম রোল মডেল। ক্ষুধা দারিদ্রতা এখন আর বাংলাদেশ নেই, কৃষিক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সঠিক প্রয়োগে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। মৎস্য উৎপাদনেও বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল অর্জন। বিশ্বের মধ্যে মিঠা পানির মাছ চাষে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে এবং তরিতরকারি ও সবজি চাষে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে।

তিনি আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী ১৫তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নগরীর পাহাড়তলীস্থ বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়।

.

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ আরো বলেন, একসময় কৃষি বলতে শুধু ধান উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ ছিল বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশের কৃষির ক্ষেত্র অনেক বিশাল। তবে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়নে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার বিকল্প নেই। এজন্য মৎস ও প্রাণি সম্পদের দিকে নজর দিচ্ছে সরকার।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার ফিশারিজ ও সমুদ্র সম্পদকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রামেই তৈরি করবে দেশের প্রথম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। এটি নির্মিত হলে গবেষণা ও দক্ষ জনবলের মাধ্যমে দেশে সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে পরিণত হবে উন্নত দেশে। মৎস ও প্রাণি সম্পদ বিকাশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং নতুন নতুন গবেষণায় সিভাসুর ঈর্ষনীয় সাফল্য রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রথম দিনে ভারতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. পুর্ণেন্দু বিশ্বাস, সিভাসু’র প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পুকুং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ইয়াং কি হং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অর্জন ও উন্নয়ন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. পুর্ণেন্দু বিশ্বাস বলেন, কৃষি উৎপাদনে শুধু উর্বর জমি থাকলেই হয়না, প্রয়োজন দক্ষ জনবল ও উর্বর গবেষণা। গবেষণা ও পড়াশুনায় বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষার্থীরা যৌথভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।

.

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের জন্য অনেক কিছুই করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন সিভাসু’র প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এবং খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বে যোগাযোগের মাধ্যম বাড়াতে হবে। সেই গুরু দায়িত্বটিই পালন করছে সিভাসু।

দক্ষিণ কোরিয়ার পুকুং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ইয়াং কি হং বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, একটি দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানবসম্পদ। উন্নয়ন সম্ভাবনার সবচেয়ে বড় সম্পদটিই রয়েছে বাংলাদেশে। তাছাড়া এদেশে পৃথীবির দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত রয়েছে। যা দিয়ে মৎস্যখাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিখাতেও এ দেশে রয়েছে নিজস্ব অনেক সম্পদ। সঠিক প্রয়োগ করা গেলে বিশ্বে বাংলাদেশ হবে রোল মডেল।

প্রথম দিনে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, সিভাসু রেজিস্ট্রার মির্জা ফারুক ইমাম, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নুরুল আবছার খান, ফুড সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রায়হান ফারুক, সম্মেলন মিডিয়া উপ-কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. আশরাফ আলী বিশ্বাস।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত দুদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রায় ২৫০ জন বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, পেশাজীবী, এনজিও কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য “বাংলাদেশের মতো একটি মধ্যম আয়ের দেশের টেকসই খাদ্য ব্যবস্থায় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদের ভুমিকা। সম্মেলনে মোট ৭টি টেকনিক্যাল সেশনে ১টি মূল প্রবন্ধ এবং ৪৯টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। সম্মেলনে বিষয়সংশ্লিষ্ট ২৫টি পোস্টার প্রদর্শন করা হবে।
রবিবার বিকাল ৫টায় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print