
প্রায় এক যুগ আগে গাজীপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জঙ্গির বিষয়ে হাইকোর্টের রায় হবে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই)। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় মামলাটি ৫ নম্বরে রয়েছে।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল চলতি বছর ৫ মে শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। এরপর ১৩ জুলাই থেকে এ মামলার পেপার বুক পড়া শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২০ জুলাই আদালত মামলার রায়ের জন্য ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন হেলাল উদ্দিন মোল্লা ও আফজাল এইচ খান।
এই মামলায় ২০১৩ সালের ২০ জুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন রায় ঘোষণা করেন। এতে নিষিদ্ধ জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। ৮ জনকে হত্যার দায়ে পৃথক পৃথকভাবে ১০ জনকে ৮ বার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ১০ জঙ্গি হলেন- এনায়তুল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ, আরিফুর রহমান, মসিদুল ইসলাম, সাইদুর রহমান মুনসি, আবদুল্লাহ আল হোসাইন, নিজামুদ্দিন রেজা, তৈয়বুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, শফিউল্লাহ ও আদনান সামি।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চার আইনজীবী আমজাদ হোসেন, গোলাম ফারুক, নুরুল হুদা ও আনোয়ারুল আজিমসহ ৮ জন নিহত হন। আত্মঘাতী হামলাকারী আসাদ ওরফে জিয়াও ঘটনাস্থলে মারা যায়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় বোমা ও হত্যা মামলা দায়ের করে। ২০০৭ সালের ৪ জুলাই ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)। সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার ইসমাইল হোসেন এ অভিযোগপত্র দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ৭০ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করেছে।