
চট্টগ্রামে চলতি মাসের সবচেয়ে আলোচিত তাসফিয়া হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহত তাসফিয়ার পরিবার। সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত তাসপিয়ার পরিবারের দাবি তাসপিয়া আমিনকে কিছু চিহ্নিত নরপশু মধ্যযুগীয় কায়েদায় নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি আদনান মির্জাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ড চাইলেও আদালত আসামির বয়স বিবেচনায় সংশোদানাগারে পাঠিয়ে দেন। যা হত্যার রহস্য উদঘাটনে ত্বরান্বিত হচ্ছে। তাই এ হত্যাকান্ডে গ্রেফতার আদনানের পুনরায় রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতের কাছে অনুরোধ করেন নিহত তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন। আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, অপরাধীদের বয়স বিবেচনা না করে তাদের অপরাধ বিবেচনা করে পুনরায় রিমান্ড মঞ্জুর করে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের সুযোগ দিন।
এছাড়া তিনি এ হত্যাকান্ড একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে আদনানের রিমান্ডের পাশাপাশি বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডে তৃতীয় কোনো পক্ষের ইন্ধন আছে কি না? বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত কিনা? তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন।
লিখিত বক্তব্যে তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন আরো বলেন, ‘নারকীয় হত্যাকান্ডের বিচার কাজ নির্ভর করছে ভিসেরা রিপোর্টের উপর। তাই এই রিপোর্ট যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তার জন্য প্রশাসনের আন্তরিকতা ও সহযোগীতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত তাসফিয়ার পিতা মোহাম্মদ আমিন ছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ মে সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তাশফিয়ার লাশ পাওয়া যায় পতেঙ্গার নেভাল এলাকায়। ৩ মে তাসপিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন পতেঙ্গা থানায় তাসপিয়াকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে রিচ কিডস গ্যাংস্টারের চার সদস্যসহ ৬জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নগরের খুলশী থানার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে আটক করে। আটক আদনান মির্জা বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং ব্যবসায়ী ইস্কান্দার মির্জার ছেলে।