
মাদক ব্যবসা, পৃষ্ঠপোষকতায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এস এম মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, তালিকা নতুন কিছু নয়, তালিকায় আমরা জানি, সে লোকগুলোকেও আমরা জানি কারা এ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। আমরা তাদেরকে বারণ করেছি সতর্ক করেছি, শতভাবে শত পথে নানাভাবে নানা পথে আমরা তাদেরকে মোটিভেট করার চেষ্টা করেছি। এরপরও যারা মোটিভেটেড হয়নি তাদের বিরুদ্ধেই প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আজ বুধবার দুপুরে নগরীর খুলশিস্থ নিজ কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি মাদক চোরা চালান বন্ধে নৌপথেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি।

মাদক এখন সমগ্র বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের মরণাস্ত্রের চাইতেও ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে মাদককে নির্মূল করা সম্ভব নয়, সকলকে সর্বস্তরের জনসাধারণকে যার যার স্থান থেকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতার মাধ্যমে মাদকে নির্মুল করতে হবে।
তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশে মাদকের আগ্রাসন কতটুকু ভয়াবহতায় গেলে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাদক নির্মূলে কঠোর ঘোষণায় যান? সুতরাং সে ক্ষেত্রে পুলিশের কোন কর্মকর্তা বা কোন সদস্য যদি মাদক ব্যবসার পেশায় জড়িত থাকে তাহলে শুধু আইনানুগ ব্যবস্থা না, তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা বদ্ধ পরিকর।
সভায় রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং, অপরাধ দমনে বিশেষ অভিযান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বৃদ্ধি সহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয় উপস্থিত চট্টগ্রামের ১১ জেলার পুলিশ সুপারকে।