
“জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগান দিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর গুডস হিলের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে এক থেকে দেড়শ ছাত্রলীগ কর্মী লাঠি সোটা রড় কিরিচ ও দেশী অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন গিয়াস উদ্দিন কাদের পরিবার।
হামলার সময় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মডেলের ৮/৯ টি গাড়ী এবং বাসার দরজা জনালা কাঁচসহ মুল্যবান জিনিস পত্র ভাঙচুর ও তছনত এবং লুটপাট করা হয় বলে জানায় বাড়ীর নিরাপত্তা কর্মীরা।
ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় বাসার নিরাপত্তা কর্মী মুজিবুর রহমান( ৬৫),নুরুল আফছার সহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
গুডস হিলের গেইটে দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মী মুজিবর রহমান জানান, সন্ধ্যা পৌনে আট টার দিকে এক থেকে দেড়শ ছাত্রলীগ কর্মী জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে তাঁকে মারধর করে। এসময় গেইট পোস্টে থাকা টেলিফোন এবং মুজিবুরের ব্যক্তিগত মোবাইলটি ভেঙ্গে ফেলে। বাধা দিলে হামলাকারীরা তাকেও মারধর করে। এর পর তারা পাহাড়ের উপরে গিয়ে বাসার সামনে পার্কিং করে রাখা বিভিন্ন মডেলের ৮/৯ টি গাড়ী, বাসার দরজা জানালা, মুল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। হামলার সময় বাধা দেয়ার চেস্টা করলে ছাত্রলীগ কর্মীরা বাসার নিরাপত্তায় থাকা নুরুল আফছার,ইকরাম, জাহেদকেও মারধর করে।
নুরুল আফছার জানান, এক দেড়শ ছাত্রলীগ কর্মী লাঠি, হকিস্টিকসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। এসময় তারা বেশ কিছু মুল্যবান কাগজ পত্র পুড়িয়ে দেয়

নিরাপত্তা কর্মী জাহেদ বলেন, ঘটনার সময় বাসার গেইটের সামনে চকবজার থানা ও কোতোয়ালী থানার টহল পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলেও তারা এগিয়ে আসেনি। পরে ফোনে কোতোয়ালী থানাকে ঘটনা জানালেও রাত দশটা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে কোন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু সাদাত সায়েম জানান, জননেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কুটুক্তির প্রতিবাদে রাতে গুডস হিলের পাস দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় সাকা- গিকার বাড়ী থেকে মিছিলের উপর ইটপাটকেল মারে। এতে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে গুডস হিলে ভাঙচুর করেছে।

এদিকে গুডস হিলে ছাত্রলীগের হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মহসীন পাঠক ডট নিউজকে জানায়, আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে হামলার খবর শুনেছি। আমি এখনো কিছু জানি না। কেউ আমাদের অভিযোগ করেনি।
ঘটনাস্থলে টহলে ডিউটিতে থাকা কোতোয়ালী থানার এস আই বিকাশ চন্দ্র শীল বলেন তিনি চকবাজার থানার ওসির কাছে এ খবর শুনলেও কোতোয়ালী থানা থেকে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।