ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নগরীতে যানজট ও বৃষ্টিই বাঁধা ঈদ কেনা কাটায়

রাত দেড়টায় চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তোলা।

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

রাত দেড়টায় চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তোলা।

পবিত্র রমজান মাস এখন প্রায় শেষের দিকে।  আজ সোমবার চলছে ২৬ রোজা।  আর মাত্র কয়েকদিন পরই খুশির ঈদ। চলছে ধুম কেনাকাটার সময়। চাকুরীজীবি ও নিন্ম আয়ের লোকজনের আশা ছিল অফিসিয়াল বেতন বোনাস নিয়ে রমজানের শেষের দিকে ঈদের কেনাকাটা সারবে।

কিন্তু সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে টানা দুদিনের হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে তাদের সে আশায় গুড়েবালি।  অবিরাম বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

কারণ বৃষ্টির কারণে অনিচ্ছা স্বত্বেও ফুটপাতের ক্রেতারা ভিড় করছে বড় শপিং মল গুলোতে। আর ক্রেতাদের চাপে নগরীর প্রায় প্রতিটি বিপনী বিতান সংলগ্ন সড়কে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট। গাড়িতে উঠলে যানজট, পায়ে হাটতে গেলে কাদা পানি ও খানাখন্দকেভরা রাস্তা, জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ।

তবে গতকাল রবিবার রাতে ভারী বর্ষণের নগরীর বিপনী বিতানগুলোও তেমন ভীড় ছিলনা। ব্যবসায়িরা জানান, বৃষ্টির কারণে মানুষ মার্কেটে আসতে পারছে নাই তাই আজ বেচা বিক্রি কম।

.

চট্টগ্রামে গত দুদিনের হালকা ও ভারি বর্ষণে নগরীর বিভিন্ন নিন্মাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পাশাপাশি ঈদ কেনা কাটা করতে আসা মানুষের আনাগোনায় নগর জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। টানা বৃষ্টি আর তীব্র যানজটের ফলে নগরজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ঈদ কেনা কাটা করতে স্বল্প আয়ের লোকজনের। কারণ তাদের ভরসা ফুটপাত বাজার। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাদা পানি ও খানাখন্দকেভরা রাস্তার পাশে বসা ফুটপাত বাজারে কেনা কাটায় বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন নিন্ম আয়ের লোকজন।

গত দুদিনে বিভিন্ন বিপনী বিতান ও ব্যস্ততম সড়কের পাশে ঈদ উপলক্ষে গড়ে তোলা ফুটপাত বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শহরে বিভিন্ন বিপনী বিতানের কাপড়, গার্মেন্টেস, জুতার দোকান, টুপি ও আতরের দোকান সহ ছোট খাট দোকান গুলিতে শেষ মুহুতে ঈদের কেনা কাটা জমে উঠেছে। বাড়ীর গৃহিনী, ছোট ছোট ছেলে মেয়ে সহ আবাল বৃদ্ধ বনিতারাও ব্যস্ত ঈদের পছন্দের কেনা কাটায়। ভিড় রয়েছে শহরের বড় বড় মার্কেট, বিপণিবিতান, ফ্যাশন হাউস ও শপিংমলগুলোতে।

তবে তেমন একটা জমেনি এবারের ফুটপাত বাজার। বৃষ্টি ও যানজট দুটোই বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে এসব বাজারে। শনিবার বিকেলের বৃষ্টিতে ফুটপাতের বিকিকিনিও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে আবার রবিবার সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে এ বাজারের ক্রেতারা। মাথায় হাত পড়েছে ফুটপাত বাজারে পসরা সাজিয়ে বসা মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের।

.

পটিয়া থেকে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থিত ফুটপাত বাজারে আসা গৃহিণী রিজিয়া বেগম বলেন, কয়েকদিন পরেই ঈদ। তার উপর ঈদের আগের কদিনে কাপড় চোপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই কম দামে ছেলে মেয়েদের জামা কাপড় নিতে এত দুর ছুটে এসেছি এখানে। তবে এখানে এসে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘ যানজট, যানবাহনের পেঁ পুঁ শব্দ, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর কাদা মাটিতে পরণের কাপড় নষ্ট হওয়ার ভয় সবমিলিয়ে চরম অস্থিরতার মধ্যেই সারতে হচ্ছে ঈদ কেনা কাটা।

রেয়াজউদ্দিন বাজারের সামনে ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ি জামিল চৌধুরী জানিয়েছে শনিবার ও রবিবারের টানা বৃষ্টির কারণে বাজারের পাশে থাকা নালা ডুবে ফুটপাতের সামনে জমে গেছে কাঁদা ময়লা যুক্ত পানি। তার উপরে সড়কের দুপাশ ধরে লেগে আছে যানযট। ফলে এসব ময়লা পানি ডিঙ্গিয়ে এবং যানজটের তীব্রতা সহ্য করে ক্রেতারা তার দোকানে আসছে না। দুদিন ধরেই তার বেচা-বিক্রি অনেকটা বন্ধ রয়েছে বলে জানান এ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি।

নগরীর জিইসি সানমার ওস্যান সিটিতে কথা হয় ক্রেতা রাসেল আহম্মেদের সাথে। তার অভিযোগ যানজট ও গাড়ি ভাড়ার উপর। তিনি জানিয়েছে বৃষ্টির উদাহরণ দিয়ে গাড়ি চালকরা তাদের টাকার মিটারও দ্বিগুন তিনগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনিতেই যানজটের কারণে সময়মত মার্কেটে আসা সম্ভব হয়না তার উপর অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে কাহিল অবস্থার সৃষ্টি হয়।

রেবেকা সুলতানা নামে এক কলেজ ছাত্রী বলেছেন, ঈদের অনেক কেনাকাটা এখনো বাকী। সে কারণেই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি। কয়েকদিন তো গরমে বের হতে পারিনি। এখন টানা বৃষ্টি। গরম এবং বৃষ্টির জন্য বসে থাকলে কেনা কাটা আর হবে না। তাই বৃষ্টির মধ্যেও বেরিয়ে পড়লাম ঈদের কেনা কাটা করতে। তবে চরম দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছে এ কলেজ ছাত্রীও।

এদিকে শনিবার বিকেলে প্রবল বর্ষণ ও রবিবার ভোর থেকে টানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ নিন্মাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে দুর্ভোগের পড়েছে ঈদের বাজারের উদ্দ্যেশে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, স্টেশন রোড, রিয়াজউদ্দিন বাজার, দুই নম্বরগেটসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়ার খবর এসেছে।

অন্যদিকে লঘুচাপের কারণে রবিবার পুরোদিন ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দমকা হাওয়া এবং সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত বহাল থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। বলা হয়,চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে জারি করা ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল থাকবে।

*বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের কসমেটিকস্ পণ্য নকল করে বিক্রি হচ্ছে লাকি প্লাজায়

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print