ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

টানা বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশংঙ্কা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

আলমগীর মানিক, রাঙামাটিঃ
শুক্রবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে থাকলেও রোববার বিকাল থেকে টানা বর্ষনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিবাসীর জনজীবন। টানাবর্ষনের ফলে অত্রাঞ্চলে পাহাড় ধসেরও আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে ব্যাপকভাবে। এমনিতর পরিস্থিতিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার পাশাপাশি গভীর রাত পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন এলাকাগুলোতে সরেজমিনে অবস্থান করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।

লাগাতার ভারী বৃস্টির কারনে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বিভিন্নস্থানে ব্যাপক ভূমি ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। রাঙামাটির সাথে খাগড়াছড়ি জেলার সড়ক যোগাোযগ ব্যবস্থা রবিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি ও শালবাগান এলাকায় সড়কের উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যে কান সময় বন্ধ হয়েে যতো পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। রবিবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষনের কারনে রাঙামাটি শহরের রাঙামাটি সিনিয়র মাদ্রাসা, শিমুলতলী, রূপ নগর, পুরাতন বাস স্টেশন, ওমদা মিয়া হিল একাধিক জায়গায় ভূমি ধ্বসের ঘটনা ঘটে।তবে এসব ঘটনায় কারো প্রাণহাণী ঘটেনি।

রবিবার রাতে শহরের বনরূপা এলাকায় সড়কের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ায় দীর্ঘক্ষন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকে। বর্ষনে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে পড়ায় রাঙামাটিতে দীর্ঘ ১৬ ঘন্টা বিদ্ৎু সরবরাহ বন্ধ থাবার পর সোমবার ভোররাত থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্নস্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলেও শহরের অধিকাংশ স্থানে পানি সরবরাহ বন্ধ আছে। রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস সূত্র জানা গেছে রবিবার সকাল ৬ টা হতে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

.

এদিকে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত রাঙামাটির বিভন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবসারত লোকজনদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে আনা হয়। জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পৌর কাউন্সিলরগন ঝুঁকিপূর্ন স্থান সমূহের উদ্ধার বাজ পরিচালনা করেন। বিভিন্নস্থানে ভূমিধ্বসের পর পরই রাঙামাটি দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে প্রবল বর্ষনের কারনে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন।

তিনি জানান উপজেলায় একাধিক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং সেখানে ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনদের সরিয়ে আনা হচ্ছে। অপর দিকে কাউখালী উপজেলার দেশের অনঅন্য স্থানের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার রবিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে আছে।উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত ৫ হাজারের অধিক পরিবার বর্তমানে পানিবন্দী অবস্থায় আছে। রাঙামাটি জেলার সিভিল সার্জন (ভাঃ) ডা: নীহার রঞ্জন নন্দী জানিয়েছেন সম্ভাবনার দূর্যোগ মোকাবেলায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালসহ সকল উপজেলায় একাধিক মেডিকেল টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

.

সোমবার মধ্যরাতে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সকলকে সরে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যদিকে সোমবার সকাল থেকে রাঙামাটিতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ বেশ কিছু এলাকার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শহরজুড়েই রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুকিঁপূর্ন এলাকাগুলো থেকে মানুষজন নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং চলছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print