
রাঙ্গামাটি উপজেলার নানিয়ারচর এলাকায় পাহাড়ধসে ১০জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় আহত হয়েছে বহু মানুষ। সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে নানিয়ার চর উপজেলার বড়কুল ও ধর্মচাল গ্রামের পাহাড় ধসে পড়ে । এতে বহু ঘর বাড়ী মাটির নীচে চাপা পড়ে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বুড়িঘাটা ও সাবেক্ষাং ইউনিয়নের বড়কুল হাতিরমারা ও চিকন পাড়া এলাকা থেকে মোট ১০জনের মরদেগ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলো,বড়কুল পাড়া এলাকার লাল চাকমা (৪৮) তার স্ত্রী দেবি চামকা ও তার মেয়ে সোনালী চাকমা,রুমেল চাকমা, রিতান চাকমা,রিতা চাকমা,ফুল দেবি চাকমা,ইতি চাকমা,অজ্ঞাত দুই মাস বয়সী এক শিশু।
নানিয়ারচর থানার ওসি আবদুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যৌথ উদ্ধার অভিযান চলছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেছেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের স্বজনদের ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের লোকজন দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এখনও যারা আছেন তাদের পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। প্রচুর ত্রাণ মজুদ আছে এবং প্রতিটি উপজেলায় ত্রাণ রয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও পাঠানো হবে। আমরা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজ রাখছি।’
এদিকে রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার কেচিমং মারমা জানিয়েছেন, সোমবার (১১ জুন) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১২ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রবল বর্ষণের পর গত বছর ১৩ জুন থেকে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ সেনা সদস্যসহ অন্তত ১২০ জন মারা যান। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। ব্যাপক ক্ষতি হয় পুরো জেলায়। তিন মাস আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে হয় প্রায় তিন হাজার মানুষকে। কাছাকাছি সময়ে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারেও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে এবং প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতি হয়।