
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে চা বাগান শ্রমিকে হত্যা মামলার রায়ে আদালত নিদাদ কর্মকার নামে অপর এক চা শ্রমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
রবিবার চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নূরে আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
নিহত চা বাগন শ্রমিক হরিমোহন রায় দণ্ডিত শ্রমিক নিদাদ কর্মকারের সম্পর্কে ভগ্নিপতি ছিলেন। তারা দু’জনই ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার রামগড় চা বাগানে কর্মরত ছিলেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পিপি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দণ্ডিত আসামী নিদাদ কর্মকার বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারে পর তার রায় কার্যক্রর করা হবে বলে আদালত জানায়।
আদালত সুত্রে জানাগেছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ২০০৭ সালের ৩ অক্টোবর রামগড় চা বাগানের ১৭ নম্বর সেকশনের রাস্তার চা শ্রমিক হরিমোহন রায়কে তার স্ত্রী’র বড় ভাই নিদাদ কর্মকার একা পেয়ে বেদমভাবে মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন হরিমোহন রায়। পরে তাকে রামগড় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঐদিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, ঘটনার আগের দিন হরিমোহনের সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এনিয়ে ভাই নিদাদকে নালিশ করে হরিমোহনের স্ত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হরিমোহনকে পিটিয়ে হত্যা করে ভগ্নিপতি নিদাদ।
এ ঘটনায় পরদিন হরিমোহনের বোন দিপালি রায় বাদি হয়ে ভুজপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ আসামি নিদাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত ২০০৯ সালের ৪ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এবং মামলা চলাকালে মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদিসহ ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হলে আদালত আসামী নিদাদ কর্মকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।