
চবি প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মির্জা ফখরুল ও এস এম মেহেদী হাসানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বিরুদ্ধে। কোটা আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় এই মারধর করা হয় বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা ও আলাওল হলের সামনে পৃথক এই দুটি ঘটনা ঘটে।
জানা যায় মির্জা ফখরুল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১২-১৩ সেশনের ছাত্র। এস এম মেহেদী হাসান একাউন্টিং বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের ছাত্র।
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মীর্জা ফখরুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার অভিযোগ এনে আলাওল হলের সামনে তাকে মারধর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে তাকে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে চবি মেডিকেলে নিয়ে যায়।
এর আগে একই কারণে মেহেদী হাসানকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে নির্ণয় পালিয়ে জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পুলিশ বক্সে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা যায়।
মারধরের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ আলম বলেন, তারা দুইজনেই কোটা আন্দোলনের গ্রুপে ছাত্রলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। তাই সাদাফ কবির, মামুন, জোবাইয়ের, শহীদ, সাব্বিরসহ শাখা ছাত্রলীগের আরো কিছু নেতা-কর্মীরা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মীর্জা ফখরুল ইসলাম পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আলাওল হলে টিভি দেখার সময় কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী আমাকে ডেকে মারধর করে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা (এসআই) সবুর বলেন, জিরো পয়েন্ট এলাকায় ও আলাওল হলের সামনে পৃথক পৃথক ভাবে মেহেদী হাসান ও ফখরুল নামের দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করি। পরে তাদের সেখান থেক বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।