
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
আজ সোমবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল চট্টগ্রাম এর ইংরেজী বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আমিনুল ইসলাম সিরাত (২৫)। সকাল ৮টার দিকে মুঠো ফোনে খবর পেলেন তার নানী ইন্তেকাল করেছেন।
নানীর মৃত্যুর খবর শুনেই বন্ধু তায়েফের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ীর পথে রওয়ানা দেয় সিরাত। খুব দ্রুত মেইন রোড়ে পৌঁছের জন্য বেছে নিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনের রেল লাইন । রেল লাইন দিয়ে হেটে দ্রুত যাচ্ছে সিরাত কানে মুঠো ফোন লাগিয়ে বাড়ীতে কথা বলছেন। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের দিক থেকে একটি ট্রেন এসে সিরাতকে ধাক্কা দিয়ে দ্ধিখন্ডিত করে চলে গেলা ট্রেন। আর মৃত নানীকে না দেখেই নানীর সাথে পরপারে চলে গেলো সিরাত।
আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে সিরাত এভাবেই না ফেরার দেশে চলে যায়। নিহত সিরাত খাগড়াছড়ির আবদুল গফুর ফারুকের পুত্র।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সিরাত রেললাইন দিয়ে ইয়ার ফোন লাগিয়ে মেইন গেইট যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে ফোনে কথা বলছিল ও খুব টেনশনে ছিল। ট্রেন আসতে দেখে আশেপাশের লোকজন সরে যেতে ডাকাডাকি করছিল। সামনে দুইজন ছিল তারাও সরে গিয়ে তাকে ডাকছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ক্লিনার নাকি শেষে তাকে পাথরও মেরেছিল কিন্তু সে কিছুই শুনতে পায়নি। অবশেষে পরপারে চলে গেলো সিরাত।
*সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে আই.আই.ইউ.সি শিক্ষার্থী নিহত