ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ইয়াবা ব্যবসা করতে হলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিতে হবে- সিএমপি কমিশনার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মাদকের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের জড়িয়ে পড়া সহ্য করা হবে না জানিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) মো. মাহাবুবর রহমান বলেছেন, ‘যে বা যারা ইয়াবার সঙ্গে যুক্ত তারা পুলিশের কেউ না। পুলিশ ব্যর্থ হতে পারে, কিন্তু ইয়াবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। ইয়াবা ব্যবসা করতে হলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিতে হবে।’

তিনি আজ মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিএমপির কোতোয়ালী থানা কমিউনিটি পুলিশ আয়োজিত মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

পুলিশ কমিশনার মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর হুঁসিয়ারী করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ধর্মীয় উপদেশ দিয়ে কাজ হবে না। বড় ভাই হয়ে উপদেশ দিলেও তারা মানে না। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেও কাজ হয় না, ‘একমাত্র সে যদি মনে করে এই ব্যবসা করলে তার জীবনহানির আশঙ্কা আছে, তাহলেই সে এই ব্যবসা ছেড়ে দেবে। আমি মনে করি, জীবনহানি হতে হবে। শান্তির জন্য অশান্তির জীবনহানি হতে পারে। তারা (মাদক ব্যবসায়ী) অস্ত্র হাতে নিয়ে আমাদের মোকাবেলা করতে চায়, আমাদের হাতেও অস্ত্রও আছে। সেই অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার আমাদের আছে। সুতরাং মাদক নিয়ন্ত্রণে জীবনহানি হতে পারে।

.

নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে আয়োজিত এ সমাবেশে পুলিশ কমিশনার বলেন-ইয়াবার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যে মাদকবিরোধী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছি তাতে আমাদের জয়ী হতে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।’ একই সাথে মাদক নির্মূলে পুলিশের পাশপাশি বিজিবি এবং কোস্টগার্ডকেও কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।

কোতোয়ালী থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং এর আহ্বায়ক এম এ মালেক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন,মহানগর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য সচিব অহিদ সিরাজ স্বপন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব ও কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

মায়ানমার থেকে ইয়াবার প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে সিএমপি কমিশনার বলেন, ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত যদি আমরা রক্ষা করতে পারতাম তাহলে ইয়াবা দেশে ছড়িয়ে পড়ত না। সীমান্তের একটি পয়েন্টে যদি ১০ লাখ ইয়াবা ঠেকানো যেত তাহলে সেগুলো ১০০ জায়গায় ছড়িয়ে পড়ত না। এক পয়েন্টে ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ সহজ নাকি ১০০ পয়েন্টে?

সমাবেশে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, সব দোষ যেন পুলিশের। অথচ যাদের ব্যর্থতার কারণে ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তাদের নাম কেউ মুখে আনে না। দুঃখের বিষয় তাদের কথা মিডিয়াতেও আসে না। বিজিবি ও কোস্টগার্ডকেও ব্যর্থতার দায় নিতে হবে, এই মত দিয়ে তিনি বলেন, তারা কঠোর হলে ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হত। আমি আশা করব, বিজিবি ও কোস্টগার্ড শক্তিশালী হবে এবং সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করবে।

সমাবেশের আগে নগরীরতে অনুষ্ঠিত হয় একটি র‌্যালী।  পরে র‌্যালিটি মুসলিম হলে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।  কমিউনিটিং পুলিশের কর্মকর্তারা পুলিশ কমিশনারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।  এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ আব্দুর রউফ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

*চট্টগ্রামে ইয়াবা পাচার, পুলিশের এসআই সহ ৩ জন রিমান্ডে

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print