
গিয়াস উদ্দিন রনি, কোম্পানীগঞ্জঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার সাথে জেলা শহর মাইজদীর সরাসরি বাস পরিবহন নেই।
জানাযায়, কোম্পানীগঞ্জের সাথে প্রায় ৪৭ বছর এবং কবিরহাট উপজেলার সাথে প্রায় ২১ বছর এ রুটে বাস সার্ভিস নেই।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাস পরিবহনের এই শূণ্যতায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দুই উপজেলার মোট জনসংখ্যার ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ও ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মধ্য বিত্ত শ্রেণি ও দরিদ্র শ্রেণির জনগণ। কারণ এ দুই অঞ্চলের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সূচনা নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে। আর সে শিক্ষা অর্জনের যাত্রা পথেই দুর্ভোগ, সেই দুরবস্থা শুধু মাত্র পরিবহনকে ঘিরে।
যে কোন উপজেলা ও জেলার সমৃদ্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থানীয় এলাকাবাসীর জীবন যাত্রার স্বস্তি ও মান উন্নয়নে ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনে। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে পরিবহন ব্যবস্থা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,এই দুই উপজেলার মানুষ দাপ্তরিক অফিস,আদালত,হাসপাতালের অনিবার্য কাজ ছাড়া জেলা শহরে যাতায়াতে ব্যাপক অনীহা ও ভয় পায়। এর অন্যতম কারণ এ রুটে সিনজি চালিত অটোরিকশা ছাড়া যাতায়াতের অন্য কোন মাধ্যম নেই। জনশ্রুতি আছে, এ রুটে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাতায়াত একটি প্রাণঘাতী ও উৎকন্ঠার পথ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে,জেলা শহরের সাথে দুই উপজেলার বাস পরিবহন না থাকার কারণে সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চলছে ভাড়া নৈরাজ্য। অন্যদিকে,সিএনজি চালিত অটোরিকশার দূর্ঘটনা নিত্য দিনের ব্যাপার। এ রুটে সিএনজি চালিত অটোরিকশার দূর্ঘটনায় অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী যেমন প্রাণ হারিয়ে তেমনি অনেক পরিবার হয়ে গেছে সর্বস্বান্ত।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি জেলা শহর মাইজদীর সাথে বাস পরিবহন সংযুক্ত করে দুই উপজেলার গণপরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো জরুরি।
এ বিষয়ে নিত্য মাইজদী যাতায়াতকারী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহীদুর রহমান তুহিন জানান,যখন নোয়াখালী কলেজের ছাত্র ছিলাম তখন আমরা দাগনভূঞা, চৌমুহনী হয়ে বাস যোগে মাইজদী যাতায়াত করতাম। সময় ব্যয় হতো ১ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত। বসুরহাটের সাথে কখনো সরাসরি জেলা শহর মাইজদীর বাস পরিবহনে যেগাযোগ ছিলনা। কিন্তু কবিরহাট থেকে সোনাপুর এক সময় বাস পরিবহন ছিল,যা বর্তমানে নেই। যদি সরাসরি জেলা শহরের সাথে বাস পরিবহন চালু করা হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের যাতায়াতে সময় লাগবে ৩০ মিনিট,সাশ্রয় হবে সময়,ভাড়া এবং দূর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। আমরা অচিরেই জেলা শহরের সাথে সরাসরি বাস পরিবহন চালু করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিআরটিএ নোয়াখালীর সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আতিকুর রহমান’র মুঠোফোনে আলাপ করা হলে,তিনি মুঠোফোন বক্তব্য প্রদানে আপত্তি প্রকাশ করে সরাসরি অফিসে বক্তব্য প্রদানের কথা বলে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস’র মুঠোফোনে আলাপ করা হলে তিনি জানান, আমাদের জেলায় বিএরটি এর একটি আরটিএ কমিটি আছে। এই কমিটি দায়িত্ব নতুন রোড করা,গাড়ির পারমিট দেওয়া, কারা চলতে পারবে কি পারবে না, এমন সিন্ধান্ত দেয়। এই ফোরামে এলাকাবাসী বাস চলাচলের জন্য দরখাস্ত করলে আমরা তার গুরুত্ব বিবেচনা করে একটি সিন্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবো।