ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় সুবিধা পেতে ‘অ্যাপ’ আবিষ্কার করলো চবি শিক্ষার্থীরা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চবি প্রতিনিধিঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের থাকে নানা রকম পড়ার চাপ। তার উপর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কখন পরিক্ষা, কোন ইউনিটের জন্য কি শর্ত রয়েছে, কয়টা ইউনিটে আবেদন করতে পারবে নানা রকম চিন্তা। এসব তথ্য সহজে পেতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে ‘এডমিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট’ নামে একটি অ্যাপ আবিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।

অ্যাপটি আবিষ্কার করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন শিক্ষার্থী। সাইন্স শপ বিডি নামক অনলাইন শপের প্রতিষ্ঠাতা ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে অ্যাপটির কাজ শুরু হয়।

‘অ্যাডমিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট’ টিমের প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, দীর্ঘ তিন মাস নিরলস কাজ করার পর আমরা অ্যাপটি এখন প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করেছি। ইতিমধ্যে অ্যাপটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে ব্যপক সাড়া ফেলেছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা একদিকে পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় অন্যদিকে বিভিন্ন চিন্তা করতে হয়। যেমন ধরুন, কবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম পূরণের শেষ সময়, টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ, ভর্তি পরীক্ষা কবে এসব নিয়ে আলাদা একটা টেনশনে থাকতে হয়।

তিনি আরও বলেন, আবার যারা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কী পড়তে হবে, ভর্তির যোগ্যতা কী, প্রশ্ন কিভাবে আসে, কীভাবে দূরের ক্যাম্পাসে যেতে হবে, তা নিয়েও চিন্তায় থাকতে হয়।

তিনি আনন্দের সাথে আরো জানান যে, ইতিমধ্যে অনেকই আমাদের এ অ্যাপ ব্যবহার করা শুরু করেছে। আমরা আশা করি এই অ্যাপ একদিন লাখো ভর্তিচ্ছুট ভরসার প্রতীক হয়ে উঠবে। সঠিক সময় সঠিক তথ্যের অভাবে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না দেশের একজন শিক্ষার্থীও।

অ্যাপটির সার্ভার ম্যানেজমেন্ট এবং ডিজাইনে কাজ করেন একই বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ জাওয়াদ খান, মাহবুবুর রহমান ও শোভন মাহমুদ। ডাটা এনালাইসিসে ছিলেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাফায়াত সিদ্দিকী। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ উল্লাহ, ফাহাদ ও মারুফ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন’র অধীনে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার জন্য এটি মনোনীত হয়েছে।

অ্যাপটিতে যা যা রয়েছেঃ

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই অ্যাপটি পাঁচ ভাগে ভাগ করেছে। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজ। যে শিক্ষার্থী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান ক্যাটাগরি অনুযায়ী সেখানে ক্লিক করলেই জেনে যাবেন পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।

প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে অ্যাপটিতে। বিজ্ঞপ্তি বোঝার সুবিধার্থে সহজ ফরম্যাট ও প্রতিটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অ্যাপস ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি খোঁজাখুঁজি করে সময় নষ্ট করতে হবে না। একটি ফোন দিয়েই একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।

#অ্যাডমিশন কাউন্টডাউনঃ

এই ফিচারটির মাধ্যমে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন কখন শুরু ও শেষ তা একসঙ্গে তালিকা আকারে দেওয়া আছে। পাশাপাশি রয়েছে অ্যাপ্লাই বাটনে ক্লিক করে কোনো ঝামেলা ছাড়া আবেদন করার সুবিধা। পছন্দমতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রিয় তালিকা করে রাখলে এই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক তথ্যের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে।

#অ্যাপটি ‘লগ ইন’ করতে যেসব তথ্য লাগবেঃ

এসএসসি, এইচএসসি রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড ও ছবি দিয়ে একটি ক্লিকের মাধ্যমেই পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যাবে। প্রতিবার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সময় একই তথ্য বারবার দিতে হবে না। শুধু কোন ইউনিটে পরীক্ষা দেবে, কোটা রয়েছে কি-না তা সিলেক্ট করেই যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যাবে।

বিকাশ অথবা রকেটের মাধ্যমে ভর্তি ফরমের ফি প্রদান করার সুযোগ রয়েছে। তবে কেউ এই সুবিধা নিতে না চাইলে শুধু ফোন ও ই-মেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে অ্যাপটির বাকি সুবিধাগুলো নিতে পারবেন। এ ছাড়া, যখন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপত্র, আসন বিন্যাস, ফল প্রকাশিত হবে তা সঙ্গে সঙ্গেই দেখা যাবে।

#যাতায়াত ও বুকিং করার সুবিধাওঃ

পরীক্ষার সময় অচেনা শহরে যাতায়াত সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও এই অ্যাপ দেবে ‘ম্যাপিং’ সুবিধা। এতে পরীক্ষার্থী যে কোনো জায়গা থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই চলে যেতে পারবেন। আর রয়েছে বাস, ট্রেন টিকেট, এমনকি হোটেল বুকিং করার সুবিধাও।

আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু ভলান্টিয়ার কাজ করছেন অ্যাপটিতে যেন সবচেয়ে দ্রুত সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া যায়। কারণ, শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় করে সহায়ক গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে ‘অ্যাডমিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট’ নামের এই অ্যাপটি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print