
জেলার বোয়ালখালীর কড়লডেঙ্গা পাহাড়স্থ চন্ডীর উদ্ভবস্থল ও দূর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল মেধস আশ্রমে ঢাকের বাদ্যে, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও চন্ডীপাঠের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার শারদীয় দূর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন মেধস আশ্রমের পন্ডিত দীপন সর্ব্ববিদ্যা।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা শাখার (চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ) উদ্দ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ সুত্রে জানাগেছে, এ বছর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা শাখার আওতাধীন জেলার ১৫টি উপজেলায় ১৮২৫টি শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার দুপুরে শুভ মহালয়া’র তাৎপর্য বিষয়ক আলোচনা সভায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিতের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক নিরুপম দাশগুপ্ত, পূজা পরিষদের সাধারন সম্পাদক অসীম কুমার দেব, বিপুল দত্ত, সুনীল ঘোষ, অনুপ রক্ষিত, বিশ্বজিৎ পালিত, হরিপদ চৌধুরী বাবুল, সুগ্রীব মুজমদার দোলন, সুপর্ণা ভঞ্জ, কল্লোল সেন, সাগর মিত্র, নভোজিৎ চৌধুরী রানা, সুভাষ চৌধুরী টাংকু, সুভাষ চন্দ্র নাথ, মাষ্টার অশোক কুমার নাথ, রিমন মুহুরী, অমিত লালা প্রমূখ।
অতিথিবৃন্দরা অনুষ্ঠানে আগত হিন্দু ধর্মাবলম্বী পূজার্থীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন-শারদীয় দূর্গোৎসব অতি প্রচীনকাল হতে বাঙ্গালী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। আবহমানকাল হতে বাঙ্গালী জাতি ধর্মীয় ভেদাভেদ ভূলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করে আসছে।
আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসব আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এই আশা ব্যক্ত করেন। এর আগে সকালে মহালয়া পূজা, পুস্পাঞ্জলী প্রদান ও চন্ডীযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে দেড় সহস্রাধিক পূজার্থী-ভক্তদের মাঝে অন্ন প্রসাদ বিতরণ করা হয়।