ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে রায়-চট্টগ্রাম বিএনপি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ডা. শাহাদাত হোসেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজানো মিথ্যা রায় দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির জাতিয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবির, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক ফজু, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান।

আজ ১০ অক্টোবর বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, তারেক রহমানসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যে রায় দেওয়া হয়েছে তা ছিল ফরমায়েশী রায়। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সম্পূর্ণ উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই রায় দিয়েছে। এই রায়ে জনগণের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটেনি। এই রায় ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। রায়ে তারেক রহমান ন্যায় বিচার পাননি। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সরকারের নির্দেশনায় এই সাজানো রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায় প্রত্যাখান করলাম।

নেতৃবৃন্দ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মূহূর্তে ৫ দফা দাবীতে ঐক্য প্রক্রিয়ার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে। মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দীনের সরকারের সময় এ মামলার চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের দলীয় লোক আবদুল কাহার আকন্দকে অবসর থেকে এনে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছিল। তাকে নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যই ছিল এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো। পরে ২০১১ সালে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের নাম সম্পূরক চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৮ সালে চার্জশিট দাখিল করার আগে মুফতি হান্নান যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল সেখানে তারেক রহমানের নাম বলেন নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারেক রহমানকে এই মামলায় ফাসানোর জন্য নীলনকশা শুরু করে। মুফতি হান্নানকে ২য় দফায় দীর্ঘদিন রিমান্ডে রেখে নির্যাতন করে তথাকথিত ২য় স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৬৪ ধারায় ২য় বার জবানবন্দি নেওয়ার এটা বিরল ঘটনা। সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য আদালতকে ব্যবহার করে আরেকটি নগ্ন উদাহরণ সৃষ্টি করলো। নেতৃবৃন্দ বলেন, এ মামলায় ২২৫ জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য দিয়েছেন, একজন স্বাক্ষীও বলেন নি তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত। মুফতি হান্নানকে দীর্ঘদিন রিমান্ডে নির্যাতন করার পরও বলেছে কোনদিন তার সাথে তারেক রহমানের দেখা হয়নি। তাই বিএনপি এবং দেশবাসী এই সাজানো মিথ্যা ফরমায়েসী রায়কে মেনে নিবে না। বিএনপি এই রায়কে আইনগত এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।

নেতৃবৃন্দ এই রায়কে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে চট্টগ্রামসহ সারদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় তল্লাশী করে গণগ্রেফতার ও গায়েবী মামলা বন্ধ করার আহবান জানান। এই রায়ের প্রতিবাদে ১১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহবান জানান।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print