ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পায়েল হত্যা মামলা যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিশেষ মনিটরিং সেলে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

হানিফ পরিবহনের চালক ও সহকারী কর্তৃক নদীতে ফেলে বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলাকে ‘চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা’ হিসেবে অভিহিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিশেষ মনিটরিং সেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে সেটি চট্টগ্রামে স্থানান্তরের ব্যাপারেও বাদীর আবেদন গৃহীত হয়েছে আজ সোমবার। মুন্সিগঞ্জ জেলা চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা বিষয়ক মনিটরিং কমিটির সভায় সোমবার এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতিও মুন্সিগঞ্জের ডিসি শায়লা ফারজানা।  প্রসঙ্গত, পদাধিকার বলে এ কমিটির সদস্য সচিব হচ্ছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।

এ প্রসঙ্গে ডিসি শায়লা ফারজানা বলেন, ‘পায়েল হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিশেষ মনিটরিং সেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এ ব্যাপারে আজকের বৈঠকে জেলা চাঞ্চল্যকর মামলা বিষয়ক মনিটরিং কমিটির সভায় সম্মতি দিয়েছে সবাই। আমাদের পাঠানো সুপারিশে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবে মন্ত্রণালয়। ‘

অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ‘আজকের বিশেষ সভায় পায়েল হত্যা মামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবাই এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। তবে মামলাটি চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা যাবে কী না সেটি আমরা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে জানাবো। এ ব্যাপারে বাদীর আবেদন আমরা গ্রহণ করেছি।

বিশেষ এ বৈঠকে পুলিশ সুপারের পক্ষে আজ প্রতিনিধিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। বৈঠকে মুন্সিগঞ্জের পিপি, পায়েল হত্যা মামলার বাদী গোলাম সোহরাওয়ার্দী বিপ্লব ও পায়েলের ভগ্নিপতি আইয়ুব আলীও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য গত ২২ জুলাই হানিফ পরিবহনের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার মিলে ঐ বাসের যাত্রী পায়েলকে নির্মমভাবে আহত করে নদীতে ফেলে হত্যা করে। ৩ অক্টোবর ৩ জনকে আসামী করে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

গত ২১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম মহানগর থেকে হানিফ পরিবহনের বাসে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র পঞ্চম সেমিস্টারের শিার্থী সাইদুর এবং তার রুমমেট ও বন্ধু আকিমুর রহমান আদর। ভোররাত সাড়ে ৪টায় বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ক্যাসেল হোটেলের সামনে যানজটে পড়ে। তখন সাইদুর তার মোবাইল বাসেই রেখে প্রস্রাব করতে নামেন। ওই সময় সাইদুরের সহপাঠী ঘুমিয়ে ছিলেন।

সকালে সাইদুরের মোবাইল ফোনে কল দেন তার মা কোহিনূর বেগম। ফোন ধরেন বাসে থাকা তার বন্ধু। সাইদুর নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ২৩ জুলাই সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর খাল থেকে সাইদুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর হানিফ পরিবহনের তিনজনকে পুলিশ আটক করে।

প্রসঙ্গত,হানিফ পরিবহনের মালিক মো: হানিফকে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ইতিমধ্যে ফাঁসির দন্ড দিয়েছে আদালত। এ ঘটনার পর চট্টগ্রামে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print