ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নৌকায় ভোট না দেওয়ায় গণধর্ষণের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নৌকায় ভোট না দেওয়ায় চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র।

আজ রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ এ দাবী করেন।

সংগঠনের জেলা সভাপতি আসমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পূরবী চক্রবর্তীর পরিচালনায় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্রগতিশীল চিকিৎসক ফোরামের আহ্বায়ক ডাঃ সুশান্ত বড়ূয়া, এডঃ বিশুময় দে, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সমন্বয়ক ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহীন মঞ্জুর, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ খন্দকার, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি মন্টি চাকমা, সূর্য সেন পাঠাগারের সাধারণ স¤পাদক জয় বনিক প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, “গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষের উৎসবমূখর পরিবেশে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজের মত প্রকাশের কথা থাকলেও বাস্তবে হয়েছে উল্টো ঘটনা। মহাজোট সরকার ভোট চুরি করে জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আরো জঘন্য ঘটনা হল নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারী নৌকায় ভোট না দেওয়ার ‘অপরাধে’ রাতের অন্ধকারে আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন কর্মী তার বাড়ি স্বামী ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে তাকে গণধর্ষন করেছে। সেই নারী এখন নোয়াখালী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্ণ হল। আমরা একাত্তরের ভয়াবহতার কথা শুনেছি, শুনেছি পাশবিক নির্যাতনের কথা। তখন ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও দেশীয় বিশ্বাসঘাতক রাজাকার, আলবদর, আল-শামস। তাদের হাতে ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বাংলার মায়েরা-মেয়েরা। আজ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির দাবিদার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে গণধর্ষিত হচ্ছে স্বাধীন দেশের মায়েরা।

বক্তারা আরো বলেন, টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় এলেন মুক্তিযুদ্ধের মানসকন্যা শেখ হাসিনা। অথচ দেশের কোন মানুষ আজ নিরাপদ নয়। সংবাদ মাধ্যম, আইন, বিচার, পুলিশ, প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলকে জিম্মি করে রেখেছে সরকার। গত মেয়াদে সেনা ক্যাম্পে পাওয়া গিয়েছিল তনুর ধর্ষিত লাশ। এর বিচার তো দূরের কথা অপরাধীদের শনাক্তও করতে পারেনি প্রশাসন। শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের তান্ডবের কথাও আমাদের মনে আছে। এছাড়াও সারা দেশে প্রতিদিন ঘটে চলেছে ধর্ষণ নির্যাতনের ঘটনা, যেগুলোর বেশীরভাগের সাথেই ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা যুক্ত। রাষ্ট্রই যখন নির্যাতক, ধর্ষক ও খুনীর ভূমিকায় থাকে তখন রাষ্ট্রের কাছে দাবী করার কিছুই নেই। তখন সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের এক হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলাটাই মুক্তির পথ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print