ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সোহেল হত্যায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা রিদোয়ান ফারুক ও যুবদল সভাপতি রাজু গ্রেফতার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

নিহত সোহেলের বন্ধু রিদোয়ান ফারুক রাজীব ও সভাপতি শওকত খান রাজু।

নগরীর পাহাড়তলী বাজারে গণপিটুনীতে নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন সোহেল হত্যার সাথে জড়িত আরো দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এরা হলো-নিহত সোহেলের বন্ধু এবং ছাত্রলীগ নেতা রিদোয়ান ফারুক রাজীব এবং মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ও ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি শওকত খান রাজু।

রবিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে রাজীবকে নগরীর পাহাড়তলী ও রাজুকে সিটি গেইট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।

তবে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা রিদোয়ান ফারুক রাজীবকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করলেও এজাহারভুক্ত আসামী যুবদল সভাপতি রাজুকে গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, নিহত সোহেলের হত্যার সাথে জড়িত রিদোয়ান ফারুক রাজীবকে গতকাল গভীর রাতে পাহাড়তলী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আজ সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি এজাহারভুক্ত আসামী না হলেও হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সাথে তিনি জড়িত। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তার জড়িত থাকার বিষয়টি আমরা জানতে পারি।

গণপিটুনীর নামে মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার মিশনের সাথে যারা জড়িত যারা তাদের অনেকের সাথে রিদোয়ানের যোগাযোগ ছিল। তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে টেলিফোনের আলাপের একটি ভয়েস রেকর্ড পুলিশের হাতে এসেছে।

এদিকে যুবদল নেতা শওকত খান রাজুকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার ও মহানগর যুবদলের নেতারা।

মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী জানান, গতকাল রবিবার রাতে ঢাকায় যাবার জন্য গাড়িতে উঠতে গেলে সিটি গেইট থেকে ডবলমুরিং পুলিশ রাজুসহ ৩জনকে আটক করে। পরে দুজনকে ছেড়ে দিলেও রাজুকে নিয়ে যায়। কিন্তু আজ সারাদিন পুলিশ তার পরিবারের কাছে রাজুকে গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করেনি।

আমরা জানতে পেরেছি তাকে দিনভর আদালতে হাজির করেনি। তাকে থানায় রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন,কোন নেতাকমীকে আটকের পর আদালতে উপস্থাপন করা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আইনী দায়িত্ব। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা না করে রাজুকে এখনো নিরুদ্দেশ করে রেখেছে যা আশংকাজনক।

দিপ্তী আরো বলেন, সোহেল হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গায়েল করার হাতিয়ার না করে প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করা হোক।  প্রয়োজনে বিচার বিভাগীর তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেলের রাজনৈতিক বড়ভাই, সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা মো. সাজ্জাদ হোসেন খুনিদের রক্ষায় একটি মহল প্রভাবশালী মহল তদবীর চালাচ্ছে অভিযোগ করে বলেন, মাদক ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেয়ায় সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই রাজনৈতিকভাবে না দেখে প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে এ হত্যা মামলার মূল আসামী আওয়ামী লীগ নেতা ও সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিল সাবের সওদাগরকে আটক করলেও পরে আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী নেতার তদবীরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

তবে বর্তমানে সাবের সওদাগর গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছেন বলে জানাগেছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print