
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সমাদৃত। দেশের সংকট মুহূর্তে ত্রাণকর্তা হিসাবে তিনি বার বার দেশকে সংকট থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধও করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ। শহীদ জিয়ার শান্তি ও উন্নয়নের রাজনীতি মানুষকে উজ্জ্বীবিত করেছিল। আর এখানেই জিয়াউর রহমানের সাফল্যের সূত্রপাত।
তিনি আজ ১৯ জানুয়ারী শনিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এতে তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ও প্রশাসনের সহায়তায় সরকারী দলকে যেভাবে বিজয়ী দেখানো হয়েছে তা আওয়ামীলীগের জন্য রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। এ জালিয়াতির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। সরকারী দলের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা ছিল নজিরবিহীন। এই বিতর্কিত নির্বাচনের ফল রাজনীতিকে বিপজ্জনক যুগে ঠেলে দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে নির্বাচন ও নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে নিরপেক্ষ তদারকী সরকারের অধীনে পুন: নির্বাচনের ঘোষণার দাবী জানান। কারাবন্দি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানান।
পরে বাদে আছর দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের আশু রোগ মুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনা এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। জামে মসজিদের খতীব মাওলানা এহসানুল হক দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আর ইউ চৌধুরী শাহীনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, এডভোকেট আবদুস সত্তার সরওয়ার, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, নগর বিএনপি নেতা জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, মো. ইদ্রিস আলী, আবু মুসা, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এইচ এম রাশেদ খান, মহিলা দলের জেলী চৌধুরী, নগর ন্যাপ সভাপতি ওসমান গণি সিকদার, তাতী দলের জাহাঙ্গির আলম, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, মনজুর কাদের মিন্টু, বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ, মসিউদ দৌলা জাহাঙ্গির, সফিকুর রহমান, মো. ছিদ্দিক মিয়া, নুর উদ্দিন সোহেল, নগর যুবদল নেতা রাসেল নিজাম, গোলজার হোসেন, আরিফুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন খান, নগর ছাত্রদল নেতা মো. সাইফুল আলম, বশিরুল ইসলাম পলাশ, শহীদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম কুতুবী, সৈয়দ সাফওয়ান আলী, এন মোহাম্মদ রিমন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।