
আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার পাশাপাশি পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিতব্য তাদের তিন দিনব্যাপী ইজতেমা বন্ধ ঘোষণারও দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি।
আজ বুধবার (১৩ ফেব্রয়ারী) চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি। এ সময় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যপী সম্মেলন বন্ধ করে দেওয়ারও দাবি জানান মাওলানা শফি। ওই সম্মেলন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শফি বলেন, আহমদিয়াদের সম্মেলন বন্ধ না করা হলে শক্ত অবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে লংমার্চসহ আরও কঠিন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহমদ শফী বলেন, কাদিয়ানীরা মুসলিম নয়, তারা কাফের। যারা কাদিয়ানীদের মুসলমান বলবে তারাও বেইমান। তাদের ইমান থাকবে না। সরকারের প্রতি কাদিয়ানীদের ইজতেমা বন্ধ ও সরকারিভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আহমদ শফীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাসপুর জেলার অন্তর্গত কাদিয়ান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ কারণে তাকে কাদিয়ানী এবং অনুসারীদেরকে কাদিয়ানী সম্প্রদায় বলা হয়। তবে তারা নিজেদের ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ নামে পরিচয় দিয়ে থাকে এবং ‘আহমদী’ বলতে ভালোবাসে।
কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সঙ্গে মুসলিম সমাজের বিরোধ হানাফী-শাফেয়ী বা হানাফী-আহলে হাদীস অথবা সুন্নী-বেদআতীদের মতবিরোধের মত নয়। বরং তাদের সঙ্গে মুসলমানদের বিরোধ এমন কিছু মৌলিক আকীদা নিয়ে, যা বিশ্বাস করা-না করার ওপর মানুষের ঈমান থাকা-না থাকা নির্ভর করে। কাদিয়ানীরা ইসলামধর্মের অনেক মৌলিক আকীদা অস্বীকার করার কারণে নিঃসন্দেহে অমুসলিম ও কাফের। বরং যে ব্যক্তি (তাদের কুফরী বিষয়গুলো জানার পরও) তাদের কাফের মনে করবে না বা এতে সন্দেহ পোষণ করবে, সেও নিঃসন্দেহে কাফের।