ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

‘ভোট ডাকাতির নির্বাচন’ থেকে দৃষ্টি সরাতে জিয়া জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচন’ থেকে দৃষ্টি সরাতে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব তোলার পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্রফোরাম নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী জিয়া জাদুঘরের নামফলক থেকে প্রকাশ্যে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলে। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর ছবি-সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে দেয়।’

তিনি আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নগরীর দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা এবং কালি দিয়ে সাইনবোর্ড মুছে ফেলা এবং জাদুঘরের সামনে অবস্থিত শহীদ জিয়ার ম্যুরালে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়ার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এসময় যা. শাহাদাত মানববন্ধনসহ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি প্রদান ও ২৬ ফেব্রুয়ারী মহানগর বিএনপির মানববন্ধন পালন।

পড়ুন- জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধনসহ ২দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে উল্লেখ করে শাহাদাত আরও বলেন, ‘যিনি নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছেন, তিনি চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তার তত্ত্বাবধানেই সব ধরনের কর্মকাণ্ড চলছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

.

নামফলকে জিয়া’র নামের উপর কালি লাগানো এবং ম্যুরাল কাপড়ে ঢেকে দেওয়ার জন্য দায়ীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঢুকে যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড করেছে, আমরা তাদের দুষ্কৃতিকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই। জাদুঘর কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিল তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া। আমরা পুলিশকে অনুরোধ করছি-যারা এই কাজ করেছে তাদের ছবি আছে, পত্রিকায় নাম আছে। ছবি ও নাম দেখে তাদের গ্রেফতার করুন।’

শাহাদাত চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই স্থান থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জিয়াউর রহমান তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বিদ্রোহের সূচনা করেছিলেন। এটা ভেঙ্গে ফেলার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে- তারা মুক্তিযুদ্ধের লেবাসধারী। আওয়ামী লীগ নেতারা মুখে শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন। আসলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। তাদের চরিত্র দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে।’

তিনি বলেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের নামফলকে শহীদ জিয়ার নাম পুনরায় স্থাপন করার জন্য চট্টগ্রামের প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।

লিখিত বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবের পর জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলকে কালি লাগিয়ে জিয়া’র নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই জাদুঘর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা ইতোমধ্যে জাদুঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে ম্যুরালের কাপড় সরিয়ে ফেলা এবং নামফলকের কালি মুছে জিয়ার নাম পুনঃস্থাপনের জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছি। অন্যথায় ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা আন্দোলনে নামব।’

মানববন্ধন থেকে পরবর্তী ঘোষণা করা হবে জানিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন চলবে। জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত (প্রস্তাব) প্রত্যাহার করতে হবে।’

আরো পড়ুন-জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সাইনবোর্ড থেকে জিয়ার নাম মুছে দিয়েছে ছাত্রলীগ

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীক। বলেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশনের শুরুতে জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলেন। জাতীয় ঐক্যের নমুনা জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা নয়। দেশের অর্ধেক বেশি জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হয় না। এটা হবে আওয়ামী ঐক্য।‘

জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইব্রাহীম।

নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের চত্বরে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীক দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print