ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে বলেই আমরা উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে পারছি: প্রধানমন্ত্রী

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশের মানুষ ভোট দিয়ে আবারও আমাদের নির্বাচিত করেছে বলেই আমরা উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে পারছি।  দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নয়ন সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে রূপ লাভ করবে।

তিনি আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত এক সূধি সমাবেশে প্রধান অথিতির ভাষনে এ বক্তব্য রাখেন।  সমাবেশে তিনি চট্টগ্রামে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বোরিং এর কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে সূধি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বাংলাদেশের প্রথম সড়ক সুড়ঙ্গপথ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে’র খনন কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে।

তিনি বলেছেন, ২০১০ সালে ঘোষণা দিয়েছিলাম, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করবো। এবার তা নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়ে উন্নয়নের নতুন ধাপে আমরা প্রবেশ করলাম।

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের মধ্যে টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে.. এরপর এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গতি তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাবে। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’

নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- এই লিংক রোডটি কক্সবাজার-পতেঙ্গা চারলেন সড়কের সাথে যুক্ত করা হবে।

.

এজন্য আরও ১০ কিলোমিটার অতিরিক্ত রাস্তা নির্মাণ করতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সে পরিকল্পনাও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সচিবের সাথে আমি ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। টানেলটি চট্টগ্রাম-আনোয়ারা এবং লিংকরোডটি পতেঙ্গা চারলেনের সাথে আনোয়ারাকে যুক্ত করবে। এতে কক্সবাজারমুখী যাত্রাও সহজ হবে।’

চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে বন্দরনগরীর জনগণ খুব সহজে ও দ্রুত বিমানবন্দরে যেতে পারবেন।

চট্টগ্রামের উন্নয়নে এই দুই প্রকল্প ব্যাপক অবদান রাখবে, যোগ করেন তিনি। চট্টগ্রামকে সকল বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য যা প্রয়োজন, সরকার তা করবে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি হবে মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত, যা খুবই উপকারী হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টানেলটি কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থাকেই সহজ করবে না, এটি ব্যবসা ও বাণিজ্যকে সমৃদ্ধ করবে এবং এ এলাকার শিল্পায়ন ঘটাবে। এটি মাথায় রেখেই আমাদের সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম করা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম শুধু বাণিজ্যিক নগর নয় এটি সৌন্দর্যের নগরী উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শহর। আমরা এই শহরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।

দেশের ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন করতে চায়। যাতে করে গ্রামীণ জনগণ শহরের মতো সুযোগ সুবিধা পায়।

.

চট্টগ্রামের প্রয়াত সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিনকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনিই এ টানেলটি নির্মাণের জন্য আন্দোলনে নেমেছিলেন।

এসময় পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক কোনো প্রমাণ ছাড়াই তাকে ও তার পরিবার নিয়ে কলঙ্ক ছড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বব্যাংকে চ্যালেঞ্চ ছুঁড়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে বলেছি। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য নথি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংকের এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমার নামে পদ্মাসেতু চাই না। কোনো কাঠামোতে আমার নামের প্রয়োজন নেই। আমি শুধু এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর কথা উল্লেখ করে বলেন, অনেক বাধা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এটা পদ্মা সেতু নামেই থাকবে অন্য কোন নামে নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলে জীবনে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো।

সূধি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, গৃহায়ন ও গণপুর্তমন্ত্রী স ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সচিব সাজ্জাদুল হাসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ এ টানেল নির্মিত হচ্ছে। টানেলটি নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে অপর প্রান্তে যাবে। নদীর তলদেশে সর্বনিম্ন ৩৬ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ ফুট গভীরে স্থাপন করা হবে দুটি টিউব। ২০২২ সালের মধ্যে এ টানেলটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print