ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পিআইবি’র মহাপরিচালক সাংবাদিক শাহ আলমগীর আর নেই

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সিনিয়র এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দেশবরেণ্য সাংবাদিক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

সাংবাদিক রহমান মুস্তাফিজ হাসপাতালে থেকে সময় নিউজকে তিনি জানান, গত দুই বছর ধরে ভারতের চেন্নাইতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন শাহ আলমগীর। গেল ৪ তারিখে তিনি সিঙ্গাপুর যান চিকিৎসার জন্য। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২০ ফেব্রুয়ারি জানান, শাহ আলমগীর লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পাশাপাশি থ্যালাসামিয়া, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ আরও কিছু জটিলতা তার শরীরে দেখা দেয়।

তিনি আরও জানান, অবস্থার অবনতি হলে ২১ ফেব্রুয়ারি সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে। কয়েকদিন সিসিইউ, এইচডিইউতে রাখার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে নেয়া হয় আইসিইউতে।

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পি]আইবি)- এর মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। গেল বছরের জুলাইতে সরকার তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করে। এরফলে ২০১৯ সালের জুলাইয়ের ০৭ তারিখ পর্যন্ত পিআইবি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা তার।

ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা শুরু করেন শাহ আলমগীর। ৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একাধিক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। এখানে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদক-এর দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আই-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন শাহ আলমগীর। তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং শিশু ও কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘‌‌‌‌চাঁদের হাট’-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি’র পরিচালনা বোর্ডেরও সদস্য তিনি।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print