ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সুবর্ণচরে তরমুজের বাম্পার ফলন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি শুরু করেছেন চাষিরা। নোয়াখালী জেলার পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রপ্তানি হচ্ছে এসব তরমুজ। আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রচুর ফলন ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় চাষিদের আনন্দের অন্ত নেই ।

উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরেজমিনে দেখা গেছে, সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন ও চর ক্লাক ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তরমুজের বিশাল ক্ষেত । উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মেঘনা মার্কেটের পাশে চর আকরাম গ্রামের চাষি মো. ইদ্রিস মিন্টু সেখানে তরমুজ তুলছেন ।

মো. ইদ্রিস মিন্টুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা এবার তিন মাস আগে থেকেই ২২ কানি জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করেছি। পরে ক্ষেতে পরিচর্যার পাশাপাশি নিয়মিত সার, পানি, বিভিন্ন ভিটামিন প্রয়োগ ও আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে ।

ইদ্রিস মিন্টু জানান আমাদের এবার খরচ হয়েছে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা । আমরা ইতোমধ্যে পনের লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। মোট পঞ্চাশ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

একই গ্রামের সিরাজ মিয়া জানান আমরা নিজস্ব উদ্যেগে এবার দুই কানি জমিতে তরমুজ চাষ করি। প্রথমে বীজ বপন করলে এতে কিছুদিন পরে অসুখে চারা গুলো মরে যায়। আমরা আবার বীজ বপন করি এবং ফসল পাওয়া পর্যন্ত আমার খরচ হয় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা এবং আমি মোট তরমুজ বিক্রি করেছি তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার ।

একই উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের তরমুজ চাষি মো. মোস্তফা মিয়া জানান, আমি এবার চার কানি জমিতে তরমুজ চাষ করি। আমার মোট খরচ হয়েছে প্রায় দুই লক্ষ টাকা। আমি এবার তরমুজ বিক্রি করেছি আট লক্ষ টাকার । প্রথম বারেই আমি ভাল লাভবান হয়েছি বলেও জানান তিনি।এ ছাড়াও সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা, চরবাটা, চর আমান উল্যাহ ও চর জব্বারসহ প্রতিটি ইউনিয়নেও আগাম তরমুজ চাষ করে কৃষকরা। এতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পেয়ে কৃষকের মুখে আনন্দের অন্ত নেই । কৃষকরা জানান কৃষি কর্মকর্তাও কোন সহযোগিতা বা পরামর্শ আমরা পাইনি । আমরা এবার সম্পূর্ণ নিজস্ব ধারনায় চাষাবাদ করতে হয়েছে । তবে ভালো ফলন পাওয়ার তেমন অভিযোগের চাপ ছিলনা কৃষকদের মুখে ।

এদিকে সুবর্ণচর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৪২,৫০০ হেক্টর এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে ।

এদিকে কৃষকরা জানান, আগাম ফলন তুলছে প্রায় ২.০০০ হেক্টর জমি থেকে। আর বাকি চাষিরা জানান,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ফলন হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print