
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ রবিবার লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল।
আজ শুক্রবার নির্বাচন স্থগিতকরণ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে নির্বাচন কমিশন। যার কপি লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখা-২ এর সহকারি সচিব মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান সাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ৮৭১/২০১৯ এ আপিল বিভাগের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালনার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।’
এর আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার বিষয়টি মুঠোফোনে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মনোনয়নপত্র বাছাইকালে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক পেয়ারুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনের এই আদেশের বিরুদ্ধে মাহমুদুল হক পেয়ারু হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৭ মার্চ সেই রিটের ভিত্তিতে হাইকোর্ট নির্বাচনের কমিশনের বাতিল আদেশের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেন। ফলে মাহমুদুল হক পেয়ারু প্রার্থীতা ফিরে পান এবং মোটরসাইকেল প্রতীক বরাদ্দ পান।
হাইকোর্টের ওই অন্তবর্তি স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ছলিমুদ্দিন খোকন চৌধুরী সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল দায়ের করেন। গত ১৯ মার্চ চেম্বার আদালতে শুনানিক্রমে হাইকোর্টের ৭ মার্চের আদেশটি স্থগিত করেন। পরবর্তী ৪ এপ্রিল চেম্বার আদালতে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়। ফলে মাহমুদুল হক পেয়ারুর প্রার্থীতা আবারো বাতিল হয়ে যায়। এ অবস্থায় ব্যালট পেপার থেকে মাহমুদুল হক পেয়ারুর প্রতীক বাদ দেয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন খোকন চৌধুরী।
প্রসঙ্গত: লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি নির্বাচন না করায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে তেমন কোনো উৎসাহ উদ্দিপনা ছিলো না । তার উপর ভোটগ্রহণের মাত্র দুইদিন আগে নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।