ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সাত বছর আগেই গান ছেড়ে দিয়ে ধর্মেকর্মে ব্যস্ত ছিলেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দেশের গান কিংবা চলচ্চিত্রের গানকে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ তার গায়কী দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন দেশ বিদেশের লাখ লাখ দর্শক শ্রোতাদের তিনি গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় সাত বছর হলো। তবুও তার গাওয়া গানের মাঝেই তার ভক্ত-শ্রোতারা তাকে খুঁজে বেড়ান।

শনিবার দিবাগত রাত একটায় তিনি লাখো ভক্তদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

মৃত্যুর কিছুদিন আগেই দিয়েছিল তার সর্বশেষ এক সাক্ষাতকার।

কেমন আছেন জানতে চাইলে শাহনাজ রহমতুল্লাহ বলেন, ‘এখনতো আসলে জীবনযাপন বদলে গেছে। সারাক্ষণ মহান আল্লাহর ধ্যানেই মগ্ন থাকি, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা থাকে আমার। আমি সবার জন্য দোয়া করি যেন সবাই সুস্থ থাকেন, ভালো থাকেন।’

.

শাহনাজ রহমতুল্লাহর জন্ম ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায়। তার বাবা এম ফজলুল হক, মা আসিয়া হক। মায়ের হাতেই ছোটবেলায় শাহনাজের গানের হাতেখড়ি। পরিবারের সবার কাছে তিনি ছিলেন আদরের শাহীন। ছোটবেলাতেই তিনি শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান। মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন। সেই থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত নিয়মিত গান করেছেন। টেলিভিশনে গান গাইতে শুরু করেন ১৯৬৪ সাল থেকে। শাহনাজ রহমতুল্লাহ সত্তরের দশকে অনেক উর্দু গীত ও গজল গেয়েছেন। প্রখ্যাত গজলশিল্পী মেহেদী হাসানের কাছে তিনি গজল শিখেছেন।

১৯৭৩ সালে তিনি আবুল বাশার রহমতুল্লার সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক মেয়ে নাহিদ রহমতুল্লাহ এবং এক ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমতুল্লাহ। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

প্রায় সাত বছরেরও বেশি সময় যাবৎ সঙ্গীতাঙ্গন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ঘরসংসার, আল্লাহর পথেই তার সময় কাটে। প্রশ্ন রাখি যদি মনের মতো গীতিকবিতা, সুর আপনার জন্য করা হয় আর কি গাইবেন কখনো? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহনাজ রহমতুল্লাহ বলেন, ‘যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কোনোদিনই গাইব না। সুতরাং আর কোনোদিনই গান গাইব না। আমি আমার সিদ্ধান্তেই অটল থাকতে চাই।’

শাহনাজ রহমতুল্লাহর কণ্ঠে এ দেশের মানুষ শুনে এসেছেন কালজয়ী গান ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে আমায় বল’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘খোলা জানালা’, ‘পারি না ভুলে যেতে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’ ইত্যাদি। আরো অসংখ্য গান রয়েছে তার গাওয়া। শাহনাজ রহমতুল্লাহ প্রথম উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নেন ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদের কাছে। এরপর তিনি ওস্তাদ মনির হোসেন, গজল সম্রাট মেহেদী হাসান, শহীদ আলতাফ মাহমুদের কাছেও গানে তালিম নেন।

বিয়ের পরে তিনটি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেছিলেন শাহনাজ। খান আতাউর রহমানের সুরে ‘আবার তোরা মানুষ হ’, আলাউদ্দীন আলীর সুরে ‘সাক্ষী’ ও আনোয়ার পারভেজের সুরে ‘ছুটির ফাঁদে’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন। এর মধ্যে ‘ছুটির ফাঁদে’ চলচ্চিত্রে গাওয়া ‘সাগরের সৈকতে কে যেন দূর থেকে’ গানটির জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। শাহনাজ রামতুল্লাহর ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন এ দেশের প্রখ্যাত একজন সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন এ দেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমতুল্লাহর গাওয়া চারটি গান স্থান পায়।

এর মধ্যে আনোয়ার পারভেজের সুর করা দুটি গান, খান আতাউর রহমান, আবদুল লতিফের সুরে দুটি ভিন্ন গান রয়েছে।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print