ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আজ ২৫ মার্চ ভয়াল কালো রাত্রি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে শুরু হয় বাঙ্গালি নিধনে ভয়াল এক গণহত্যা। প্রতিরোধকারী পুলিশ বাহিনী ও পিলখানার ইপিআরদের ওপর রক্তাক্ত আক্রমণ চলে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা নগরীতে চালায় মধ্যযুগীয় পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ। শাহবাগের ‘দি পিপল অফিস’, ‘ইত্তেফাক ভবনে’ আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

অনেক সাংবাদিক ও কর্মী এই আক্রমণে প্রাণ হারান। ২৫ শের রাতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ ঐ রাতেই ঢাকা শহরে প্রাণ হারান। বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে এই রাতে কীভাবে স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর মানব ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যায় মেতে উঠেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই আক্রমণ যখন চলমান, মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। গ্রেফতারের আগেই ইপআিরএর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭১ সালের ২২ মার্চ বাঙ্গালি নিধনে অপারেশন সার্চ লাইট ও বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারে অপারেশন বিগবার্ডের পরিকল্পনা করে ২৫ মার্চ গোপনে পাকিস্তানে পালিয়ে যায় ইয়াহিয়া খান। মধ্যরাতেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুমন্ত বাঙালীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানী হানাদারদাররা।২৫ মার্চ, ১৯৭১ এর কালোরাত্রির কথা সগৌরবে ফিরে এসেছে আমাদের ইতিহাসের পাতায়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য শিরীন আখতার ২৫শে মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেছেন। তাঁর প্রস্তাবের উপর সাধারণ আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় সাত ঘণ্টা আলোচনার পর ১১ মার্চ শনিবার মাননীয় স্পীকার ও সকল সংসদ সদস্য সর্বসম্মতভাবে এই ঐতিহাসিক প্রস্তাবটি পাস করেছেন।

.

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সারা বিশ্বের পত্রিকায় এসেছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কিভাবে গণহত্যা করেছে। আমি নিজে চোখে সেই বিভীষিকা দেখেছি। বাংলাদেশের এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে গণহত্যার চিহ্ন নেই। হানাদার বাহিনী এসেছিল পাকিস্তান থেকে। এদেশের পথঘাট তাদের চেনার কথা নয়। তাদের পথঘাট চিনিয়েছে আলবদর, রাজাকার, আল শামস আর জামাত-শিবির। এরাই ছিল পাকিস্তানীদের দোসর। যে গণহত্যা বাংলাদেশে হয়েছে তার জন্য পাকিস্তানি বাহিনী যতটা দায়ী ততটাই দায়ী আলবদর, আল শামস, রাজাকাররা।’

পঁচিশ মার্চের সেই রাত তাই কালরাত হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের ইতিহাসে। এবার তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায় বাংলাদেশ।আন্তর্জাতিকভাবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, অন্য দেশগুলোর পার্লামেন্টের সমর্থন পেতে তৎপরতা শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। চলছে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রক্রিয়া শুরুর কাজ। রুয়ান্ডার গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়া জাতিসংঘসহ অন্য দেশগুলোকে পাশে পাওয়া যাবে। তার জন্য জেনেভায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাউন্সিলে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি দল।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print