ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত চুয়েট

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

IMG_1078583794830
মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা-গবেষণার একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২৫ কি.মি. দূরে ১৭১ একর জমির উপর সবুজে সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে এ প্রতিষ্ঠানের অবস্থান।
এ প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে নিয়োজিত রয়েছেন, যাদের নিরলস শ্রম ও নিবেদিত প্রয়াস দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৪৫০০ ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে। এছাড়া প্রায় ৬০০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ২০১৯-২০ বর্ষের মধ্যে চুয়েটের সর্বমোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা হবে ৮০৮০ জন। পাশাপাশি শিক্ষক সংখ্যা হবে ৫৯০ জন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৯৪৪ জন। ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যপরিধি আরো বহুমাত্রায় বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষনার অন্যতম র্শীষ প্রতিষ্ঠান।
প্রকৌশল শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে স্থাপিত এই প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে ১৯৬৮ সাল হতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।

সাগর, পাহাড়, নদী, লেক, বানাঞ্চল ও সমতলের বিরল সমন্বয় ঘটেছে সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রামে। এই অপরূপা চট্টগ্রামে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সমুদ্রবন্দর, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তেল শোধানাগার, জাহাজ নির্মাণ কারখানা, ইপিজেডসহ অন্যান্য অনেক সম্ভাবনাময় শিল্পকারখান।

চট্টগ্রামেই এক মনোরম প্রাকৃতিক পাহাড়ি ভূমিতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাস অবস্থিত। এই মনোরম ক্যাম্পাসে সম্মিলন ঘটেছে পাহাড়, সমতল ও লেকের। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন প্রায় ১৭১ একর জমির উপর এই ক্যাম্পাস অবস্থিত।

এ প্রতিষ্ঠান হতে ডিগ্রি-প্রাপ্ত অসংখ্য প্রকৌশলী দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে নিয়োজিত রয়েছেন, যাদের নিরলস শ্রম ও নিবেদিত প্রয়াস দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটির প্রতিষ্ঠানকালে উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তির শিক্ষাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়া। তখন কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির অধীনে পরিচালিত হত।

প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনার ভার ন্যাস্ত ছিল মন্ত্রণালয়ের হাতে এবং স্থাপনা নির্মান ও রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে। কলেজটির সার্বিক পরিচালনা ত্রিপক্ষীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকায় যথাযথ সমন্বয়ের অভাবে ও বিভিন্ন জটিল সমস্যার আবর্তে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য উদ্দেশ্যে অর্জন ব্যাহত হয়। নানাবিধ জটিল সমস্যাবলীর সমাধানের উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৮৬ সালে দেশের ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে স্বায়ত্ত্বশাসিত বিআইটিতে রূপান্তরিত করে। সীমিত পরিসরে স্বায়ত্ত্বশাসন লাভের পরেও বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বিআইটি, চট্টগ্রাম নানাবিধ সমস্যার সম্মুক্ষীণ হয়।

শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরী সংক্রান্ত অসুবিধা, গবেষণাগারে উন্নতমানের যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা, গবেষণা কার্যক্রমের জন্য বাধা হয়ে পড়েছিল।
অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উচ্চ-শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিআইটি, চট্টগ্রাম ১লা সেপ্টেম্বর ২০০৩ থেকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Chittagong University of Engineering & Technology) নামে যাত্রা শুরু করে।
সেশনজটমুক্ত, অস্থিরতামুক্ত একটি সুন্দর সুখী পরিবার হিসেবে চুয়েট এগিয়ে যাচ্ছে। সীমিত বাজেটের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা-গবেষণায় চুয়েট নানা সাফল্য লাভ করে দেশে-বিদেশে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশেষ করে, প্রতিবছর সফলভাবে একাধিক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স-সেমিনার-সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠান, বিভিন্ন খ্যাতনামা জার্নালে নিয়মিত গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ, বিশ্বমানের ল্যাব যন্ত্রপাতি সংযোজন, রোবট গবেষণায় যুগান্তকারী উদ্ভাবন, সরকারের রূপকল্প অনুসরণে ভিশন ২০২১ গ্রহন ও ভিশন ২০৪১ গ্রণয়নের উদ্যোগ, বিদেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে উচ্চ শিক্ষা-গবেষণায় সমঝোতা চুক্তি গড়ে তোলা, বিশ্বব্যাংক, জার্মানি, জাপান, নেদারল্যান্ডসরকারসহ দেশে-বিদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সফল প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন যুগোপযোগী বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এছাড়া চুয়েট এলামনাইসহ অন্যান্য শুভাকাঙ্খী ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধন আরো দৃঢ় হয়েছে।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং যথোপযুক্ত জ্ঞান অর্জন ছাড়া বর্তমান শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা দূরূহ। উচ্চমানসম্পন্ন প্রকৌশল শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ঐকাšিতক প্রচেষ্টা রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য এটি সেশনজট মুক্ত। বিশ্বের বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি পূর্বের ধারাবাহিকতায় বজায় রাখবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

চুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান,১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত চুয়েট।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস  উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর  বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি জানান, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের  সদস্য  আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চুয়েটের  ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রক্তদান, বৃক্ষরোপন, র‌্যালি, আলোচনা সভা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ প্রভৃতি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print