ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পকে প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

রপ্তানিমুখী অন্যান্য শিল্পের মতো বাংলাদেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পকেও আর্থিক সুবিধা ও প্রণোদনা দেওয়ার দাবি উঠেছে। বাংলাদেশ ওশান গোয়িং শিপওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিওজিএসওএ) নেতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্প্রতি শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে বিওজিএসওএ প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এছাড়াও বেশকিছু দাবি তোলেন নেতারা।

তারা বলেন, শিল্পমন্ত্রণালয় ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ ব্যবসাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়। কিন্তু সেই থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি অপার সম্ভাবনাময় এ ব্যবসাকে সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ীদের সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সুবিধা ও প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থলগ্নিকারী এ ব্যবসা দিনদিন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। তাই প্রতিনিধি দলের নেতারা তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের মতো উৎসে কর, ডিউটি ড্র-ব্যাক, ইউডিএফ লোন, প্যাকিং লোন সুবিধাসহ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ সময় শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, বিওজিএসওএর সভাপতি আজম জে চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল ও শেখ বশির উদ্দিন, সেক্রেটারি জেনারেল রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এএসএম আব্দুল বাতেন, সদস্য মো. শাহজাহান, এসআর শিপিংয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সারোয়ার জাহান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান উপস্থিত ছিলেন।

বিওজিএসওএ প্রতিনিধি দলের নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনাসহ সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতি বা ‘ব্লু ইকোনোমি’র প্রসার, সমুদ্র পথে পণ্য আমদানি রপ্তানিতে ফ্রেইটচার্জ খাতে দেশিয় জাহাজের হিস্যা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। বৈঠকে সরকারের নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা পেলে দেশিয় পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পখাত দ্রুত বিকশিত হবে। বর্তমানে সমুদ্র পথে পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে ফ্রেইট চার্জ বাবদ খরচের ৯০ শতাংশেরও বেশি বিদেশি জাহাজ মালিকরা নিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এছাড়া দেশিয় সমুদ্রগামী জাহাজ মালিকদের আয়করসহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে বছরে ফ্রেইট চার্জ বাবদ কমপক্ষে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় সম্ভব। পাশাপাশি এ শিল্পের বিকাশে সরকারের নীতি সহায়তা কামনা করে সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ট্যাঙ্কসহ অন্যান্য বৈষম্য দূর করতে আসন্ন বাজেটে কার্যকর প্রস্তাব দেওয়ার আহ্বান জানান অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পমন্ত্রী এ শিল্পে করসহ অন্যান্য অসঙ্গতি পরীক্ষা করে তা যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও কাছে সুপারিশ করা হবে আশ্বাস দিয়ে বলেন, দেশিয় এ শিল্পের প্রসাওে সরকারের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে। সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সুবিধা কাজে লাগাতে শিল্প মন্ত্রণালয় পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করবে। জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ ভাঙ্গা ও শিপ রিসাইক্লিং কার্যক্রমকে সরকার নীতি সহায়তা দিচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পের প্রসারেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। নতুন শিল্পনীতিতে থাকবে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print