
স্বামীর পরকিয়ায় বাধা হয়ে দাড়ানোর অপরাধে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার জিইসি আবাসিক এলাকায় স্ত্রী তাসমিন সাঈদা চৌধুরীকে নির্যাতনের পর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরশাদুল আলমের বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহত গৃহবধূকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে স্বামী আরশাদুল আলম ও তার মা সরওয়ার জাহান মালেককে আসামী করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেছেন সাঈদার চাচা হাসান মোহাম্মদ রাশেদ।
মামলার পরপরই পুলিশ জিইসি এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বামী আরশাদুল আলমকে গ্রেফতার করেছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এক গৃহবধূকে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে করা হয়েছে। রাতেই আমরা অভিযুক্ত আসামী আরশাদুল আলমকে গ্রেফতার করেছি।
মামলার বিবরণে পুলিশ জানায়, ২০০৯ সালে ও আর নিজাম আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আবদুল মালেকের ছেলে আরশাদুল আলমের সাথে তাসমিন সাঈদা চৌধুরীর বিয়ে হয়। এই দম্পতির তিন জন সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই প্রায় সময় রাতে মাতাল হয়ে স্ত্রীকে মারধর করতো আরশাদুল।
মাতাল অবস্থায় বাসায় গিয়ে স্ত্রীকে ব্যাপক মাধরের পর এক পর্যায়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার বাদী সাঈদার চাচা জানান, স্বামী আরশাদুল আলমের সাথে অন্য এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। পরকীয়ায় বাধা দিলে প্রায় সময় মাতাল অবস্থায় বাসায় স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতন করতো। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে মারধর করে।