ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় ভারতের কারাগারে মুসলিম যুবকের ওপর নৃশংসতা

লোহার শিক গরম করে নাবিরের পিঠে লেখা হয় হিন্দু দেবতার নাম ‘ওম’।

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

লোহার শিক গরম করে নাবিরের পিঠে লেখা হয় হিন্দু দেবতার নাম ‘ওম’।

ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত কারাগার হিসেবে পরিচিত তিহার জেলে ভয়ানকভাবে মুসলিম নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে। শাব্বির নাবির নামের এক মুসলিম বন্দিকে হিন্দুধর্ম গ্রহণে চাপাচাপি ও তার ওপর চালানো অমানুষিক নির্যাতনের খবরে তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।

জেলসুপারের কথামত হিন্দুধর্ম গ্রহণ না করায় লোহার শিক গরম করে নাবিরের পিঠে লেখা হয় হিন্দু দেবতার নাম ‘ওম’। শুক্রবার দিল্লির একটি আদালতে জেল সুপারের বিরুদ্ধে বন্দি নাবির নিজেই চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বর্ণনা দেন।

দিল্লির কড়কড়ডুমা আদালতে অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান মামলায় জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য তাকে পেশ করা হয়েছিল৷ সেখানেই অমানবিক এ নির্যাতনের কথা জানিয়ে নাবির নিজের জামা খুলে তার পিঠের চিহ্নটি বিচারপতিকে দেখান। দেখা যায় ওই বন্দির বাঁ-কাঁধের একটু নিচে প্রায় ৬ ইঞ্চি বড় ওই ‘ওম’ চিহ্নটি খোদাই করা হয়েছে।

আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

তবে নাবিরের অভিযোগ অস্বীকার করে জেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, যদি জোর করে ওই চিহ্নটি খোদাই করা হত, তাহলে এত নিখুঁতভাবে সেটি আঁকা যেত না।

অবশ্য জেল কর্তৃপক্ষের এ বক্তব্য গ্রহণ করেনি আদালত। কারা বিভাগের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব প্রিজনকে এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার তদন্তে প্রয়োজনীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অন্যান্য বন্দিদের জবানবন্দিও নিতে বলেছেন। পাশাপাশি জেলের বন্দিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি যাতে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়, সেই ব্যাপারেও নির্দেশ দেয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। কী ভাবে একজন বন্দির গায়ে এই ধরনের চিহ্ন আঁকা হল, তা নিয়ে মুখ খুলেননি তারা।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, দিল্লি পুলিশ ২০১৭ সালে সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাব্বির নাবিরকে গ্রেফতার করে। অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।

ভারতের কারাগারে মুসলিম বন্দিদের প্রায়ই নির্যাতনের কথা আলোচনায় এসেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে হিন্দু বন্দিদের আক্রমনে পাকিস্তানি এক মুসলিম নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।  সুত্রঃ যুগান্তর।  

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print