ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ধরে নিয়ে যাওয়ার ৪ দিন পর চ’বি’র ছাত্র নেজামকে জঙ্গি হিসেবে হাজির!

????????????????????????????????????

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

FB_IMG_1472486074195
আটকের আগে চবি ছাত্র নেজাম উদ্দিন।

অবশেষে নিখোঁজ চ’বির শিক্ষার্থী নেজাম উদ্দিন (২৫)কে আটকের বিষয়টি স্বীকার গোয়েন্দা পুলিশ। একই সাথে রুকন উদ্দিন (২৪) নামের আরো একজনকে আটকের কথা জানায় চট্টগ্রাম মহানগর ডিবি। তবে পুলিশের দাবি আটক এ দুজন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য।

পরিবারের দাবী নেজাম উদ্দিনকে ৪ দিন আটক করে ডিবি নিয়ে যায়। আর পুলিশ বলছে বুধবার রাতে তাদের আটক করা হয়েছে এবং আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে জানায়, জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

নিজামকে গত ২৮ আগষ্ট সাদা পোশাকধারী আইনশৃংখলা বাহিনী পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিলেও পুলিশ তাদেরকে আটক দেখায় ৩০ আগষ্ট। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের আগ্নায়াস্ত্র না পেলেও দুটি মোবাইল ১৩টি বই উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এগুলোকে উগ্রবাদী জিহাদি বই বলে দাবী করছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের দাবী গত ৩০ আগষ্ট দুপুর ২ টায় তাদেরকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাকলীয়া থানাধীন বড় মিঞা মসজিদেও একটি বাসা থেকে আটক করা হয়।

৪ দিন পর বৃহস্পতিবার পুলিশ নেজামসহ অন্য একজন আটকের পর সংবাাদকদের সামনে হাজির করার পর তোলা ছবি। (কালো চেকশার্ট)

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় তারা আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সক্রিয় সদস্য এবং পরিকল্পনা ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে বেগবান করতে উক্ত স্থানে গোপনে অবস্থান করছিল।

এ ছাড়া ধর্মান্তরিত জঙ্গি মুসয়াব ইবনে উমায়ের মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোঃ রোকন উদ্দিনকে জঙ্গি কর্মকান্ডে প্রলুব্ধ করে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমে অন্তর্ভূক্ত করেছে। তারা একাধিকবার উক্ত উমায়ের এর সাথে গোপন বৈঠক করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে বলে দাবী পুলিশের। তাদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

৩০ আগষ্ট আটক তিন দিন পরে কেন সংবাদ সম্মেলন,এছাড়া তার পরিারের দাবী সে তো কোন রাজনীতি করেননা এমন প্রশ্নের জবাবে সহকারী পুলিশ কমিশনার গোয়েন্দা) নাজমুল হাসান এ জাগোনিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) পরিতোষ স্যারের সাথে কথা বলেন।
এর পর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) পরিতোষ ঘোষের সরকারী মুটোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

পুলিশের দাবী আটকের পর নেজামের কাছ থেকে এসব ইসলামী বই উদ্ধার করা হয়।

এদিকে নেজামের বাবা বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেছিলেন তাঁর ছেলে কোন রাজনীতি করেনা। গত চার দিন ধওে নিখোঁজ রয়েছে সে। ২৮ আগষ্ট বিকাল সাড়ে তিনটায় বড় মিঞা মসজিদ এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকে ৮/৯ জন লোক তাঁর ছেলে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে তুলে নিয়ে যায়। এর পর তিনি ছেলে খোঁজে পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, পিবিআই, সিআইডিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সব জায়গায় ধর্না দিয়েছেন কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে স্বীকার করেননি।

তাঁর ভাই আব্বাস উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন নিজাম চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে সম্প্রতি এলএলবি পরীক্ষা সমপন্ন করেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি পারিবারিক ব্যবসাও দেখাশুনা করতেন নেজাম। কোন ধরনের রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত ছিলেননা।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজামের ভাই আবাস উদ্দিন বলেছিলেন, ২৮ আগষ্ট বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি হাত মুখ ধোয়ার জন্য ওয়াসরুমে যান। তখন তার ভাই নিজাম রুমেই ছিল। আব্বাস ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখেন ৮/৯ জন অপরিচিত অস্ত্রধারী লোক তার ভাই নিজামকে পিচমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে। তখন আববাস জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে ?

কি সমস্যা আমার ভাইকে কেন কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ? তখন তারা অস্ত্র তাক করে বলে এই চুপ কোন কথা বলবিনা। এর পর তারা জিজ্ঞেস করে আমার মোবাইল নম্বর আমার ভাইয়ের মোবাইলে আছে কিনা । সে বলে হ্যাঁ আছে। তখন তারা বলে পরে ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করিস । এ কথা বলে তারা একটি মাইক্রোবাসে তুলে তার ভাইকে নিয়ে যায়।

এর পর সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রথমে বাকলিয়া থানায় যায় আব্বাস। তারা জানান যে এ নামে কাউকে তারা আটক করেননি। এর পর বিষয়টি নিয়ে নিখোঁজ ডায়রী করতে চাইলে তারা ডায়রী নেননি।

সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস জানান, এর পর রাতে লালদীঘি পাড়ের ডিবি পুলিশের অফিস, জেলা পুলিশের অফিস,র‌্যাব অফিসসহ সম্ভাব্য সব জায়গাতে খোঁজ করি কিন্তু ভাইয়ের কোন সন্ধান পাইনি ।

আমরা ডিবি অফিসে গেলে প্রথমে একজন নেজাম সেখানে একটি রুমে আছে বলে জানালেও অপরজন বলে এখনে নাই। বৃহস্পতিবার সকালে আব্বাসের কথা বললে তিনি জানান, তার ভাই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেননা। পড়ালেখা আর ব্যবসা ছাড়া তিনি কিছুই বুঝতেননা।

এ ব্যাপারে বুৃধবার বিকালে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসুর সাথে মুটোফোনে কথা বললে তিনি ২৮ আগষ্ট নেজামের আত্মীয়রা থানায় গিয়ে নেজামের খোঁজে গিয়েছিল বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন এ নামের সেদিন কাউকে বাকলিয়া থানা পুলিশ আটক করেনি। পুলিশের আরো অনেক গুলো ইউনিট রয়েছে তারা আটক করেছে কিনা তা তাঁর জানা নেই বলে জানিয়েছিলেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিকালে নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টচার্য্যরে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেনা বলে জানান ।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী জানান, নেজামের বিষয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁদেরকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে তাঁরা তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

চবিতে আইন অনুষদের নিজামের সহপাঠিরা জানান, নেজাম খুবই নিরিবিল থাকত,ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতনা। তবে মেয়েদের থেকে দুরে থাকত। তার বিভাগের সবাই তাকে খুব শান্ত বলে জানত।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print