ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চাই শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে ১০ মিনিট

.

শ্রমিক অধিকার বিষয়ে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এক হাদীসে বলেছেন, ‘মজুরকে তার গায়ের ঘাম শুকাবার আগেই মজুরি পরিশোধ করে দাও।’ শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) এর এই বাণী শ্রমিকের মর্যাদার বিষয়টিকে আরো বেশি মহীয়ান করেছে। এভাবে ইসলাম শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার যে নিশ্চয়তা দিয়েছে, তা দুনিয়ার আর কোনো মতবাদ বা দর্শন দেয়নি।
আধুনিক বিশ্বের পুঁজিবাদী ও সমাজবাদী রাষ্ট্র দর্শনের কোনটাই শ্রমিকের প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদার ন্যূনতম সমাধান দিতে পারেনি। ফলে এখনও শ্রমিক-মজুররা নিষ্পেষিত হচ্ছে। মালিকের অসদাচরণ, কম শ্রমমূল্য প্রদান, অনপযুক্ত কর্ম পরিবেশ প্রদানসহ নানা বৈষম্য শ্রমিকের দুর্দশা ও মানবেতর জীবনযাপনের কারণ হয়ে আছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম শ্রমিকের মেহনতের কষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন।

সে জন্য তিনি যে ঐশ্বরিক বিধান চালু করেছিলেন তাতে শ্রমিক ও শ্রমের মহিমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার অমোঘ বাণী জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আজও সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে অতুলনীয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শ্রমিক ও মালিকের সম্পর্ককে ভাই ভাই উল্লেখ করে তিনি তাদের অধিকার ও পাওনার ব্যাপারে যে উক্তি করেছিলেন তা অসাধারণ। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘মজুর-শ্রমিক ও ভৃত্যদের যথারীতি থাকা ও পোশাক দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘যারা তোমাদের কাজ করছে তারা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন।’ -বুখারী। মহানবী (সা.) শ্রমিককে আপনজনের সাথে তুলনা করে বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের আপনজন ও আত্মীয়স্বজনদের সাথে যেমন ব্যবহার কর, তাদের সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করবে।’

শ্রমিকরাও মানুষ। তাদের শক্তি-সামর্থ্য ও মানবিক অধিকারের প্রতি লক্ষ্য রাখার বিষয়টি উল্লেখ করতে গিয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মজুরদের সাধ্যের অতীত কোন কাজ করতে তাদের বাধ্য করবে না। অগত্যা যদি তা করাতে হয় তবে নিজে সাহায্য কর।’ মালিকের প্রতি শ্রমিককে তার অধিকার নিশ্চিত না করার পরিণাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে মহানবী (সা.) কঠোর বাণী উচ্চারণ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি কঠিন অভিযোগ উপস্থাপন করব- যে ব্যক্তি আমার উম্মতের কাউকেও কিছু দান করার ওয়াদা করে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলো, কোন মুক্ত স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রয় করে যে তার মূল্য আদায় করলো এবং যে ব্যক্তি অন্যকে নিজের কাজে নিযুক্ত করে পুরোপুরি কাজ আদায় করে নিলো, কিন্তু তার মজুরি দিলো না- ওরাই সেই তিনজন (বুখারী হাদিস থেকে বর্ণিত)।’ আজ পয়লা মে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আজকের দিনটি শ্রমিক দিবস হিসেবে পরিচিত।

শ্রমজীবী মানুষের প্রেরণা ও আবেগের দিন এই পয়লা মে। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে আত্মাহুতি দান করেছিলেন শ্রমিকরা। তাদের রক্তাক্ত স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৮৯০ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বে প্রতিটি দেশে মে মাসের ১ তারিখ নানা আয়োজনে পালন করা হচ্ছে শ্রমিক দিবস। এক সময় বিশ্বের দেশে দেশে শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের সীমা ছিলো না। মালিকরা নগণ্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে দরিদ্র মানুষের শ্রম কিনে নিতেন।

সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাড়ভাঙা শ্রম দিয়েও শ্রমিক তার ন্যায্য মূল্য পেতেন না। মালিকরা উপযুক্ত মজুরি তো দিতেনই না, বরং তারা শ্রমিকের সুবিধা-অসুবিধা, মানবিক অধিকার ও দুঃখ-কষ্ট পর্যন্ত বুঝতে চাইতেন না। মালিকরা তাদের অধীনস্থ শ্রমিককে দাসদাসীর মতো মনে করতেন। আর তাদের সাথে পশুর মতো ব্যবহার করতেন।

সুযোগ পেলেই মালিকরা শ্রমিকের ওপর চালাতেন নানা শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন। বলতে গেলে শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকারও তখন রক্ষিত হতো না। শ্রমিকের শ্রমকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে মালিক অর্জন করতেন সীমাহীন সম্পদ। এভাবে শোষণ-নিপীড়ন ও বঞ্চনাই শ্রমিকের ভাগ্যলিখন হয়ে দাঁড়ালো।

মালিকের সীমাহীন অনাচার, অর্থলিপ্সা ও একপেশে নীতির ফলে শ্রমিকদের মনে জমতে শুরু করে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও দ্রোহ। ১২ ঘণ্টা কাজ করেও যখন শ্রমিকের সংসার চলত না, স্বজনের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দেয়া সম্ভব হতো না, তখন শ্রমিকরা সুযোগ পেলেই প্রতিবাদী হওয়ার চেষ্টা চালাতেন। তবে এ রকম বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ প্রায়শই মালিকের পশুতুল্য ও আগ্রাসী হামলায় হতো ক্ষতবিক্ষত। এমতাবস্থায় জীবনের আশঙ্কা যেমন ছিল, তেমনি শ্রমের সুযোগও হাতছাড়া হতো।

ফলে শ্রমিকরা আরো কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতেন। এভাবে চললো বেশ কয়েক যুগ। এমতাবস্থায় আমেরিকার ফেডারেশন অব লেবার ১৮৮৪ সালের ৭ অক্টোবর প্রথমবারের মতো প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজের দাবি তুললেন। তবে এতে তেমন কাজ হলো না। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি তো মানলই না, বরং তারা শক্ত অবস্থান নিলো।

ফলে এক সময় শ্রমিকের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বিস্ফোরণের আকার ধারণ করলো। আর সেটা ঘটলো আজকের তথাকথিত মানবাধিকার ও সভ্যতার অহঙ্কারী দেশ আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটে। কাজের সময় ৮ ঘণ্টা নির্ধারণ, মজুরির পরিমাণ বৃদ্ধি ও কাজের উন্নত পরিবেশ তৈরি করাসহ শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ১৮৮৬ সালের পয়লা মে হে মার্কেটের শিল্পশ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিলেন। এ ধর্মঘটে যোগ দেন ৩ লাখ শ্রমিক। তারা কলকারখানা বন্ধ রেখে নেমে এলেন রাজপথে।

এতেও মালিকরা নতি স্বীকার করলেন না। তারা শ্রমিকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে পিছু হটানোর কৌশল গ্রহণ করলেন। এদিকে পুলিশও কঠোরহস্তে সে ধর্মঘট দমন করার জন্য শ্রমিকদের ওপর চড়াও হলো। পুলিশি অ্যাকশনের প্রতিবাদে ৩ মে আন্দোলনত শ্রমিকরা এক সমাবেশের ডাক দিলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা এসে এতে যোগ দেন। সেদিন হে মার্কেটের বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন শ্রমিক নেতা আগস্ট স্পিজ।

এই সময় মালিকপক্ষের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা সমাবেশস্থলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ সদস্য মারা যায়। এতে বিক্ষুব্ধ পুলিশ বাহিনী সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ শ্রমিকদের ওপর। এতে মুহূর্তের মধ্যেই মারা যান ১১ জন শ্রমিক। এ সময় শ্রমিকদের ন্যায়ানুগ দাবিকে দাবিয়ে রাখার কৌশল হিসেবে মালিকরা আরো কঠোর হন। এদিকে শ্রমিক ধর্মঘট সংঘটিত করার অপরাধে শ্রমিক নেতা আগস্টসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের প্রহসনমূলক বিচারের মুখোমুখি করে সরকার। তারপর ১৮৮৭ সালে সাজানো মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এর ফলস্বরূপ ১১ নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে আগস্ট স্পিজসহ ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামের এক শ্রমিক ফাঁসির আগের দিন কারাগারের ভেতর আত্মহত্যা করেন। আরেকজনের ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এতকিছুর পরও শ্রমিক আন্দোলন দাবিয়ে রাখা যায়নি।

বরং সারা দুনিয়ায় শিকাগোর রক্তাক্ত ঘটনার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। আমেরিকায়ও এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী শ্রমিক আন্দোলনের প্রভাব ধীরে ধীরে প্রসার লাভ করে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২০ সালে রেল, চা বাগান ও স্টিমার শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও সংহতি ব্রিটিশদের কাঁপিয়ে তোলে। এ সময় গড়ে ওঠে ট্রেড ইউনিয়ন। তারাও মে দিবস পালনের চেষ্টা চালায়।

তবে বিভিন্ন দেশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকার কারণে গোপনে চলতে থাকে মে দিবস। কিন্তু যেসব দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু ছিল সেসব দেশে মে দিবস বেশ আয়োজনের সাথেই পালিত হতে থাকে। সময়ের পরিবর্তনে মে দিবস এখন সারা দুনিয়ায় সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে মর্যাদা দিতে ঐতিহাসিক ঘটনা কিংবা বিশেষ দিনে এক একটি দিবস পালন করা হয় পৃথিবীর মানচিত্রে। আর এই দিনগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান কর্মসূচি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ গণমাধ্যমগুলো আয়োজন করে থাকে। আজ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যেই দিনটিকে ইতিহাসের পাতায় খুবই অর্থবহ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। একজন খেটে খাওয়া মানুষের শ্রমের অধিকারকে মূল্য দিতে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখা হয়েছে।

যা বিশ্বের প্রতিটি মেহনতি মানুষের শ্রমের ন্যায্য অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করাই এর লক্ষ্য। কর্মক্ষেত্রে ৮ ঘণ্টা শ্রমের হয়তো বা নিয়ম প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তবে এখনও শ্রমিক নিপীড়ন থামেনি এবং শ্রমিকের প্রকৃত মর্যাদা ও শ্রমের মূল্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অহরহ শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে আমরা সহজেই এটা অনুধাবন করতে পারি। আমরা হলফ করেই বলতে পারি যে, দুনিয়ার কোথাও শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি এবং তাদের বাঁচার উন্নত পরিবেশ এখনও কাঙ্খিত মাত্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে এ ক্ষেত্রে একমাত্র ইসলামই শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এখন থেকে দেড় হাজার বছর আগে।

শ্রমিক দিবসের প্রেরণা থেকে বাংলাদেশ মোটেও পিছিয়ে নেই। এ দেশে নারায়ণগঞ্জে প্রথম মে দিবস পালিত হয় ১৯৩৮ সালে। তখন ব্রিটিশ শাসনামল। তারপর পাকিস্তান আমলেও মে দিবস যথাযথ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের শাসন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে মে দিবস পালিত হয়। ঐ বছর সদ্য স্বাধীন দেশে পয়লা মে সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়। তারপর থেকে আজও পয়লা মে সরকারি ছুটির দিন বহাল আছে।

বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ চোখে পড়লেই দেখতে পাই শ্রমের ন্যায্য অধিকারের বিপরীতে শিশু শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা। সিলেটে শিশু রাজন হত্যার পর খুলনায় আবারও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে আরেক শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে।

১২ বছরের শিশু শ্রমিক রাকীব একটি দোকানের কর্মচারী। রাকীব যে বয়সে লেখা-পড়া করার কথা, সে বয়সে মা-বাবা, ভাই-বোনের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য নিজকে শারিরীক শ্রমের বিনিময়ে দাফনের কাপড় পরে বিদায় নিতে হলো এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। তাহলে কোথাও শ্রমের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একের পর এক শ্রমের অধিকারকে কেড়ে নিচ্ছে মহাজনরা। তাদের কি একবার ভেবে দেখা উচিত পৃথিবীর পরিমন্ডলের সবার জীবনে একই পরিণতি হতে পারে এই শ্রমজীবিদের মতো।

শ্রমের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবশ্যই সব পেশাজীবী মহল এগিয়ে আসতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যেন বিশ্বের মানচিত্রে শ্রমের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে একটি সুফল বার্তা নিয়ে।

আজ বিভিন্ন সেক্টরে ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এসোসিয়েসন গঠন করা হচ্ছে। তেমনি হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। শিগগিরই শিশু শ্রমিক রিয়াদ হত্যাকারী রেস্তোরাঁর মালিকের ফাঁসি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, মজুরি কমিশন গঠন ও জাতীয় নিম্নতম মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, কর্মক্ষেত্রসহ সার্বিক ও সামাজিক নিরাপত্তার দাবি আদায়ের মূল লক্ষ্যই এসব সংগঠনগুলোর এবারের মে দিবসে মূল প্রতিপাদ্য।

পরিশেষে মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে শ্রমিকের প্রতি মালিকের সহনশীল মনোভাব থাকতে হবে। শ্রমিকের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার আলোকে তাকে কাজ দিতে হবে। শ্রমিককে মানুষের মতো বেঁচে থাকার জন্য তার মজুরি সেভাবে নির্ধারণ করতে হবে। মালিককে অবশ্যই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, তার নিজের স্বজনরা যে রকম জীবনযাপন করবে, তার অধীনস্থ শ্রমিকরাও সে রকম জীবনের নিশ্চয়তা পাবে। মালিক-শ্রমিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে ইসলাম যে শ্রমনীতি ঘোষণা করেছে, তাকে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা গেলে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা অবশ্যই সুরক্ষিত হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print