ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আইন বহির্ভূত পন্থায় একাধিক স্ত্রী গ্রহণ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে ১০ মিনিট

এ.এম জিয়া হাবীব আহসান

বর্তমান বিশ্বে বহুবিবাহ একটি আলোচিত ইস্যু। আমাদের বাংলাদেশেও এ নিয়ে নানা তর্ক বিতর্ক রয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারণা ও প্রচলন হল প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে বহুবিবাহ করা এবং বিনা অনুমতিক্রমে একাধিক বিবাহ করা। আসুন দেখা যাক আমাদের আইন কি বলে? কার অনুমতি নিতে হবে? প্রচলিত ধারণা হচ্ছে ১ম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে আরেকটি বিবাহ করা যায় এটা সঠিক নয়। অনুমতি নিতে হয় সালিশী কাউন্সিল থেকে । সালিশী কাউন্সিল বলিতে চেয়ারম্যান এবং মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এ ব্যবস্থিত একটি বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত পক্ষগণের প্রত্যেকের একজন প্রতিনিদ্ধ্বি সমন্বয়ে গঠিত একটি সংস্থাকে বুঝায়।“চেয়ারম্যান” বলিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বুঝায়,বা পৌরসভার চেয়ারম্যানকে বুঝায়,বা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র বা প্রশাসনকে বুঝায়, বা অত্র অধ্যাদেশের অধীন চেয়ারম্যানের কর্তব্য সম্পাদন করিবার সেনা নিবাস এলাকায় সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিকে বুঝায়।

.

সেখানে স্ত্রী সম্মতি দিলে স্বামীর ২য় বিবাহে আর কোন বাঁধা থাকে না। যদি সম্মতি না দেয় তাহলে সালিশী কাউন্সিল ২য় বিবাহের যৌক্তিকতা সমূহ পরীক্ষা, যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবেন। স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহ আইনে যা বলেন :-এক স্ত্রীর বর্তমানে আরেকটি বা একাধিক বিবাহ করাকে বহু বিবাহ বলে। আইন অনুযায়ী এক স্ত্রী জীবিত অবস্থায় আরেকটি বিয়ে করা যাবে না। তবে কোনো ব্যক্তির যদি এক স্ত্রী বর্তমান থাকাকালে আরেকটি বিয়ে করার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাঁকে তাঁর বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণের মধ্যে শেষ স্ত্রীর এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে আরেকটি বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে। ২য় বিয়ের কারণে ১ম স্ত্রী ও তার গর্ভের সন্তানেরা অনেক সময় অবহেলিত ও অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে । কখন আরেকটি বিয়ের আবেদন করা যায় ? মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ ধারা ৬ মতে, দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে সালিশি পরিষদের নিকট হতে অনুমতি না নিলে বিয়ে নিবন্ধন হবে না। অনুমতির জন্য ফি দিয়ে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করতে হবে এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের অনুমতি প্রদানে যে সকল বিষয়ের প্রতি বিবেচনা করা হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো ১) বর্তমান স্ত্রীর বন্ধাত্য, ২) শারীরিক মারাত্মক দুর্বলতা, ৩) দাম্পত্য জীবন সম্পর্কিত শারীরিক অযোগ্যতা, ৪) দাম্পত্য অধিকার পুনর্বহালের জন্য আদালত থেকে প্রদত্ত কোনো আদেশ বা ডিক্রি অর্জন, ৫) মানসিকভাবে অসুস্থতা ইত্যাদি। স্ত্রী যদি দ্বিতীয় বিয়ে করেন:- মুসলিম আইন অনুযায়ী, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাবস্থায় কোনো মুসলিম নারী যদি আরেকটি বিয়ে করেন তবে সেই বিয়ে অবৈধ। এক্ষেত্রে প্রথম স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মামলা দায়ের করলে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী, ওই স্ত্রীকে সর্বোচ্চ ৭ (সাত) বছর মেয়াদের যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ডে দন্ডিত করা যাবে। সেইসঙ্গে আর্থিক জরিমানাও করা যাবে। তবে সেই স্ত্রী যদি তার পূর্বের স্বামীর ৭(সাত) বছর যাবত কোন খোঁজ না পান, অথবা তিনি জীবিত থাকতে পারেন এমন কোন তথ্য জানা না থাকে তাহলে পরবর্তী স্বামীকে অবস্থা বর্ণনা করে তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। স্ত্রীর অধিকার লংঘনে আইনী প্রতিকার:- ১) স্ত্রী’র সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাবস্থায় যদি স্বামী অন্য এক বা একাধিক বিয়ে করেন তবে ওই স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে সম্পূর্ণ দেনমোহর (যদি বাকি থাকে) সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়ার অধিকার রাখেন। মুসলিম পরিবার আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ধারা ৬ অনুযায়ী, স্বামী ১ম স্ত্রী থাকা অবস্থায় আরও এক বা একাধিক বিয়ে করলে, তাৎক্ষণিকভাবে প্রথম স্ত্রীকে পাওনা যেকোনো ধরনের দেনমোহর পরিশোধ করে দিবেন। যদি তিনি তা পরিশোধে ব্যর্থ হন তবে স্বামীর সম্পত্তি থেকে ওই স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করতে হবে। ২) একই সঙ্গে আগের স্ত্রী তার ভরনপোষনের জন্যও স্বামীকে বাধ্য করতে পারেন। পূর্বের স্ত্রী যদি আলাদাও থাকেন এবং সেখানে যদি কোনো নাবালক/নাবালিকা সন্তান থাকে তবে স্ত্রী ও সন্তানের ভরনপোষনের দায়িত্ব ওই স্বামীর। যদি সে ভরনপোষনে ব্যর্থ হন তাহলে আগের মতই তার সম্পত্তি থেকে এই খরচ মেটানো হবে। ৩) সেইসঙ্গে, পূর্বের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্বামীকে ১ বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। ৪) এমনকি পূর্বের স্ত্রী তার স্বামীর থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারেন। মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯ অনুযায়ী ভুক্তভোগী ওই স্ত্রী তার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করতে পারবেন । ভরণপোষন, দেনমোহর ও বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ওই নারীকে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হবে। তবে স্বামী যদি আরবিট্রেশন কাউন্সিলের অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় বা পরবর্তী আর কোন বিয়ে করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে এসব পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না । কোন মুসলিম পুরুষ যদি তার স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বা তারও বেশি বিয়ে করতে চান তাহলে প্রথম স্ত্রী (দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে) অথবা সর্বশেষ যে স্ত্রী আছেন (তৃতীয় বা পরবর্তী বিয়ের ক্ষেত্রে) তার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করবেন । চেয়ারম্যান তখন আরবিট্রেশন কাউন্সিল গঠন করবেন । আরবিট্রেশন কাউন্সিল যদি ঐ স্বামীকে দিতীয় বা পরবর্তী বিয়ে করতে অনুমতি দেন তাহলে স্বামীর বিরুদ্ধে আর কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। তবে আরবিট্রেশন কাউন্সিল স্বামীকে বিয়ের অনুমতি দিতে কিছু বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করবে। আরব্রিটেশন কাউন্সিলের কোন সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ পক্ষ সহকারি জজের আদালতে আপিল করতে পারেন। বহু বিবাহের আইনগত দিক:- মুসলিম পাবিরারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুযায়ী পূর্বাহ্নে সালিশী পরিষদের নিকট হতে লিখিত অনুমতি না নিয়ে কোন পুরুষ একটি বিবাহ বলবৎ থাকাকালে আর একটি বিবাহ করতে পারবে না এবং পূর্বানুমতি গ্রহণ না করে এই জাতীয় কোন বিবাহ হলে তা মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রেশন আইন ১৯৭৪ সালের ৫২ নং আইন মোতাবেক রেজিষ্ট্রী হবে না)। ১. বিয়ের অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করতে হবে এং আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত বিবাহের কারণ এবং বর্তমানে স্ত্রী বা স্ত্রীগণের সম্মতি নেওয়া হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।মনে রাখতে হবে সম্মতি দেয়া আর অনুমতি এক নয়। ২. আবেদনপত্র পাঠাবার পর চেয়ারম্যান আবেদনকারী ও তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণকে তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি মনোনয়ন করতে বলবে এবং সালিশী পরিষদ যদি মনে করে যে, প্রস্তাবিত বিবাহটি প্রয়োজন ও ন্যায়সঙ্গত তা হলে কোন শর্ত থাকলে সে সাপেক্ষে প্রার্থীর বিবাহের অনুমতি মঞ্জুর করতে পারে। ৩. আবেদনপত্র সম্পর্কে সিদ্ধান্তকালে, সালিশী পরিষদ এ সিদ্ধান্তের কারণ সমূহ লিপিবদ্ধ করবে এবং কোন পক্ষ নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট সহকারী জজের আদালতে পুনর্বিচারের জন্য আবেদন করতে পারবে এবং এতে সহকারী জজের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে এবং এর বৈধতা সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। ৪. বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণের প্রাপ্য মুয়াজ্জল বা মু-অজ্জল দেনমোহরের টাকা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করবে। সে টাকা ওইরূপে পরিশোধ করা না হয় তা হলে বকেয়া ভূমি রাজস্ব রূপে আদায় করা হবে। বহু বিবাহেরে ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের দায়-দায়িত্ব: ১. বহু বিবাহের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সাহেব স্বামীকে অনুমতি দিতেও পারে আাবার নাও দিতে পারে। ২. যদি কোন স্বামী সালিশী পরিষদের মাধ্যমে অনুমতি পেয়ে যায় তাহলে চেয়ারম্যান সাহেব তাকে স্মারক নং- সহ দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি প্রদান করবে । ৩. অনুমতি ব্যতিত স্বামী বহু বিবাহ করলে চেয়ারম্যান সাহেব তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বর্তমান স্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করতে পারবে। ৪. সালিশী পরিষদের অনুমতি ব্যতিত কোন ব্যক্তি যদি অন্য একটি বিবাহ করে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করতে পারবে । বহু বিবাহের ক্ষেত্রে কাজী সাহেবের দায়-দায়িত্ব : বিবাহটি বরের বহু বিবাহ কিনা তা যাচাই করবে। সালিশী পরিষদের লিখিত অনুমতি আছে কিনা তা দেখবে । সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কাজী সাহেব যে কোন পন্থা অবলম্বন করতে পারে আবার সন্দেহ হলে বিবাহটি নাও রেজিষ্ট্রী করতে পারে। বহু বিবাহের ক্ষেত্রে পৌরসভা চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা প্রশাসক সাহেবের দায়-দায়িত্ব: আমি জানি আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগছে শহরে আবার চেয়ারম্যান কোথায় পাব, এই বিষয়ে আইনের বক্তব্য- মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ধারা ২(২) তে চেয়ারম্যানের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে, এই আইনে চেয়ারম্যান বলতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান, মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের মেয়র বা প্রশাসক, চেয়ারম্যানের কর্তব্য পালন করার জন্য সেনানিবাস এলাকায় সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ব্যাক্তি বা বিশেষ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার জন্য সরকার নিযুক্ত ব্যাক্তিকে বোঝায়। চেয়ারম্যান কে হবেন বা কে হতে পারবেন সেটা নিয়ে এই আইনে আরো বিস্তৃত ব্যাখা দেয়া হয়েছে, যারা অধিকতর জানতে চান অনুগ্রহপূর্বক মূল আইনটা পড়ে নিবেন)। এইরূপ দরখাস্ত পাবার পর সেই চেয়ারম্যান কি করবেন? চেয়ারম্যান স্বামী এবং তার স্ত্রীকে (বা স্ত্রীগনকে) প্রত্যেককে একজন করে প্রতিনিধি দিতে বলবেন, সেই সব প্রতিনিধি আর চেয়ারম্যান মিলে হবে এক ‘সালিসী কাউন্সিল’, যা সিদ্ধান্ত নিবে স্বামী বা স্ত্রী আরেকটা বিয়ে করতে পারবে কি পারবে না । সালিসী কাউন্সিল প্রস্তাবিত বিয়েটা প্রয়োজনীয়, ন্যায়সঙ্গত এবং যুক্তিযুক্ত মনে করলে এবং যুক্তিযুক্ত বলে বিবেচিত হতে পারে এমন সব শর্ত থাকলে (মানে আগের স্ত্রীদের ভরনপোষণ দেখভাল ইত্যাদি) তার উপর ভিত্তি করে সেই বিয়ের আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন। লক্ষ্য করুন, মঞ্জুর করতেই হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা কিন্তু নেই ! সালিসী কাউন্সিলকে অবশ্য তার সিদ্ধান্তের কারনসমূহ লিপিবদ্ধ করতে হবে, কি কারনে বিয়ের অনুমতি দেয়া হল বা হলনা তার ব্যাখ্যা লিপিবদ্ধ করতে হবে, তবে কোন পক্ষ যদি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয় (স্বামী হতে পারে, তার স্ত্রীও হতে পারে), তারা তখন সংশ্লিষ্ট সহকারী জজের নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য দরখাস্ত দাখিল করতে পারবেন, বিয়ের অনুমতি দেয়া হবে কি হবেনা সেই বিষয়ে সেই সহকারী জাজের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গন্য হবে এবং তারপর আর কোন আদালতে এই প্রসঙ্গে আর কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবেনা । আর স্বামী যদি সালিসী পরিষদের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করে ফেলে তাহলে? তাহলে তাকে তার সকল আগের স্ত্রী এবং স্ত্রীগনের পাওনা দেনমোহরের টাকা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করতে হবে, না করলে তা বকেয়া ভূমি রাজস্বরূপে আদায়যোগ্য হবে এবং দোষী সাব্যাস্ত হলে এক বৎসর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে বা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডিত হবে । মামলাটি কখন করতে হয়ঃ- বিবাহটি সংঘটনের বা ১ম স্ত্রী জানার ১ বছরের মধ্যে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর (৬) খ ধারায় ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে অভিযোগ করতে হয় । বিনা অনুমতিতে পরবর্তী বিয়ের আইনগত বৈধতা- একটা বিয়ে বহাল থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বা তার পরবর্তী বিয়ের ক্ষেত্রে সালিশী পরিষদের অনুমতি নিতে হবে অন্যথায় উক্ত বিয়ে মুসলিম বিয়ে এবং তালাক (রেজিষ্ট্রেশন) আইন, ১৯৭৪ আইনানুযায়ী রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হবে না তবে তা অবৈধও হবে না । সুতরাং এক স্ত্রী বহাল থাকাবস্থায় আর এক স্ত্রী গ্রহণের জন্য বিদ্যমান স্ত্রীর বা ১ম স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে ধারনাটি ভুল । প্রকৃত পক্ষে অনুমতি নিতে হবে সালিশী কাউন্সিল থেকে এবং মনে রাখে হবে আইন বহির্ভূত পন্থায় একাধিক স্ত্রী গ্রহণ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।

লেখকঃ আইনজীবী, মানবাধীকার কর্মী ও সুশাসন কর্মী ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print