
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত হানার আশঙ্কায় সম্ভব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের জরুরী সভা থেকে জেটিতে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলোকে আগেভাগেই জেটি ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে আবহাওয়া অধিদফতর দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করার পর বুধবার রাতে এ জরুরী সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সুত্রে জানাগেছে, নিয়ম অনুসারে সাধারণত ৫ থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলাকালে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
জরুরী সভায় চট্টগ্রাম বন্দরে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংস্থা ব্যবসায়ী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ সমূহকে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেভাগে বন্দর ত্যাগের নির্দেশ দেন।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার উপকূল থেকে ১১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে অবস্থানকারী মাছধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় আটটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, লোহাগাড়া, বোয়ালখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের সব সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত উপকূলের মানুষজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিশেষ বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। বৈঠকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে তাদের। এরই মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। মজুদ আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার ও টিনসহ অন্যান্য সামগ্রী। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সন্দ্বীপ-সীতাকুণ্ড রুটের নৌ চলাচল।