
রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার পর বিমানটি জরুরি অবতরণ করেছে। তবে বিমানের পেছনের অংশে আগুনের কারণে এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার রাশিয়ার শেরেমেতেভো বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমানটি জরুরি অবতরণের সময় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিমানটিতে ৭৮ জন যাত্রী ছিল। আগুন নিয়ে বিমানটি জরুরি অবতরণের সময় অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনও হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভয়াবহ আগুন লাগার একটি বিমান থেকে জরুরি স্লাইড ব্যবহার করে যাত্রীরা বেরিয়ে আসছেন। বিমানটিতে আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সুখোই সুপারজেট-১০০ বিমানটি স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায় যাত্রা শুরু করে। রাজধানী মস্কো থেকে রাশিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর মুরমানস্কে যাত্রার কথা ছিল বিমানটির। তবে কী কারণে অগ্নিকাণ্ড ও জরুরি অবতরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
এদিকে সংবাদসংস্থা রিয়া নোভস্তির খবর অনুসারে, উত্তর পূর্বের মুরমানস্কের দিকে যাচ্ছিল। বিমানটি যখন উড়ছিল, সেই সময় কোনো বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণেই আগুন লেগেছে।
রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, মস্কোর শেরেমিয়েতোবো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিপদে পড়ার সংকেত পাঠায় বিমানটির কর্মীরা। খবরে বলা হয়েছে, প্রথমবার জরুরি অবতরণ করতে গিয়েও ব্যর্থ হয় বিমানটি।
রানওয়েতে দাঁড়ানো বিমানটিতে এরপর দাউদাউ করে আগুনের শিখা জ্বলতে দেখা গিয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে তড়িঘড়ি যাত্রী ও বিমানকর্মীদের নামিয়ে আনার চেষ্টা হয়। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন আরোহী, জানিয়েছে তাস।
আহত যাত্রীদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা সংকটজনক। দুর্ঘটনার কারণ অসুসন্ধানে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে রাশিয়ার বিমান মন্ত্রক।