
সব কয়টি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি মিলছে না আলোচিত এবং সাহসী সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের। একটি থেকে জামিন পেলে মুক্তি পাওয়ার আগেই অন্য আরেকটি নতুন মামলা দিয়ে তার মুক্তি আটকে দিচ্ছে পুলিশ।
সর্বশেষ হিসেব মতে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকার ৮৫ টি মামলা দিয়েছে। বুধবার তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত তার জামিন আবেদনে স্বাক্ষর করেন নি বিচারকেরা। এরই মধ্যে হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে মাহমুদুর রহমানের জামিন আবেদন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
ওই স্থগিত আবেদনের বিষয়ে কোনো শুনানি হয়নি। কবে নাগাদ শুনানি হবে তাও জানা যায়নি। ফলে সহসাই মাহমুদুর রহমানের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই এমনটিই জানা গেছে তার আইনজীবিদের সুত্রে।

উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় বুধবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। জামিন প্রশ্নে পূর্বে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির।
এদিকে মাহমুদুর রহমানের এক আইনজীবী বুধবার জানিয়েছিলেন, ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পাওয়ায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে থাকা সবকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। তাই এখন তার মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই।
প্রায় ৮৫টি মামলায় জড়িয়ে ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে কারাগারে আছেন মাহমুদুর রহমান। অন্যসব মামলায় এর আগেই জামিন নিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ মামলায়ও বুধবার তাকে জামিন দেয় হাইকোর্ট।
যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পুলিশ গত বছরের আগস্টে পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। গত ১৬ এপ্রিল নিউ ইস্কাটন গার্ডেনের বাসা থেকে সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমানকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পরে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখায় পল্টন থানার পুলিশ। দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। ১৮ এপ্রিল মাহমুদুর রহমানকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে রিমান্ডেও নেওয়া হয় তাকে।
গত ৩১ আগস্ট এ মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পান শফিক রেহমান। মঙ্গলবার কারামুক্ত হন তিনি। একই মামলায় বুধবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মাহমুদুর রহমান। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত তার জামিন আবেদনে স্বাক্ষর করেন নি বিচারকেরা। এরই মধ্যে হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে মাহমুদুর রহমানের জামিন আবেদন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।