
ঈদকে সামনে রেখে দর্শক টানতে নতুন ভাবে সেজেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে চিড়িয়াখানার আঁকা হয়েছে দেয়ালচিত্র। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন পশু পাখির খাঁচা।
প্রথাগত চিড়িয়াখানার ধারণাকে ভেঙে নতুন ধারণা নিয়ে পশু-পাখি প্রদর্শনের পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

ঈদের টানা ছুটিতে বিনোদন প্রেমীদের আকৃষ্ট করতে বর্ণিল সাজে সাজানো ছাড়াও পাহাড়তলী ফয়’স লেক সংলগ্ন পাহাড় দখলের পাশাপাশি পাহাড়ের ধস ঠেকাতে চিড়িয়াখানা সংলগ্ন বিশাল একটি পাহাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে পাখির অভয়ারণ্য। সে সাথে সেখানে ছেড়ে দেয়া হবে হিংস্র নয়, এমন ছোট ছোট কিছু প্রাণী। পুরো চিড়িয়াখানার দেয়ালে তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন পশু-পাখির প্রতিচিত্র।

১৯৮৯ সালে ৫ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা এ চিড়িয়াখানার বিশাল একটি অংশই পাহাড়ি এলাকা।
দেশী প্রজাতির পাশাপাশি লাভ বার্ড, লাফিং ডাভ, ফিজেন্ট, রিং নেড পেরোট, কোকাটেইল এবং ম্যাকাও মত বিদেশ পাখির ঠাঁই মিলেছে এই চিড়িয়াখানায়।
প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চিড়িয়াখানাটিকে পাখির অভয়ারণ্য হিসাবে গড়ে তোলার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন জানান, শুধুমাত্র শিশু কিশোর উপযোগী করে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়টি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় এটি অরক্ষিত হবার পাশাপাশি শংকা সৃষ্টি হয় পাহাড় ধসের। আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণেই নতুন ধারণায় কাজ শুরু করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ২ একরের পুরো পাহাড়টি ফলের গাছ লাগিয়ে পাখিদের অভয়ারণ্য করা হবে। সে সাথে দর্শনার্থীদের পাশ দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবে অন্যান্য প্রাণীরাও।

চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬৫ প্রজাতির ৬৩০ রকমের পশু-পাখি রয়েছে। এর মধ্যে দুর্লভ সাদা বাঘের বাচ্চা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে দর্শনার্থী আকর্ষণ করার মতো সিংহ, জেব্রা, ভাল্লুক, কুমির এবং হরিণ। পাহাড় ধস ঠেকাতে পুরো চিড়িয়াখানা জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে রিটানিং ওয়াল। আর চিড়িয়াখানাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় এবং ভিন্নমাত্রা যোগ করতে সেই দেয়ালগুলোতে পশু-পাখির প্রতিচিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
বছরে প্রায় ১১ লাখ দর্শনার্থী আসেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।