
কাপ্তাইয়ে বেড়াতে গিয়ে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে মামা-ভাগ্নের করুন মৃত্যু ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শীলছড়ি এলাকায় নদীতে গোসল করতে নেমে সাঁতার না জানায় তারা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। নিহতরা হলো হামেদ হাসান আদর (৩০) এবং আনোয়ারুল আরেফিন অনু (১৯)।
তারা দুজন চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা।
এদের মধ্যে রাতে ভাগ্নে অনুর লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মামা হামেদ-এর লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে কাপ্তাই নৌবাহিনীর ডুবুরিরা উদ্ধারের চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে।
কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ নুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুপুরের দিকে চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে একটি পরিবারের ১৮ জন সদস্য কাপ্তাইয়ে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে এদের কয়েকজন পুরুষ সদস্য শীলছড়ি এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামে। নদীতে সাঁতার কাটার চেষ্ঠার সময় সাঁতার না জানায় মামা ভাগ্নে হামেদ ও অনু পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে ডুবুরিরা ভাগ্নে অনুর লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত মামা হামেদের কোন সন্ধান পায়নি ডুবুরিরা। তবে ডুবুরিরা উদ্ধার তৎপড়তা চালিয়ে যাচ্ছে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, কাপ্তাইয়ে অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাঁতার না জানা সত্বেও কর্ণফুলী নদীতে অথবা কাপ্তাই লেকে গোসল করতে বা সাঁতার কাটতে নামেন। সাঁতার না জানাদের অনেকেই পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করেন। এখন থেকে সাঁতার না জানা কাউকে নদীতে নেমে গোসল করা বা সাঁতার কাটা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানক তিনি।