ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজ ভারত-পাকিস্তান মহারণ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

খেলার সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ শব্দটা যায় না। কিন্তু শব্দটি ব্যবহার হয়ে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার রূপক অর্থ হিসেবে। দুটি দল বা দুটি দেশ যখন খেলার মাঠে মুখোমুখি হয়, তখন লড়াই ও যুদ্ধ শব্দ দুটি বসিয়ে দেয়া হয় আগে। চির প্রতিদ্বন্দ্বিদের খেলার আগেই বেশি ব্যবহার হয় শব্দগুলো।

এই যেমন বিশ্ব ক্রিকেটে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বি দল ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ হলেই সবার মুখে মুখে যুদ্ধ আর লড়াই। যদিও এটি আর আট-দশটি ম্যাচের মতোই। ইংল্যান্ডে চলমান আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১৮তম দিনে আজ রবিবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে বিরাট কোহলি আর সরফরাজ আহমেদ মুখোমুখি হবেন বিকেলে সাড়ে ৩ টায়। নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপের অন্যতম আলোচিত এবং উত্তেজনাকর ম্যাচ এটি।

ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী ক্রীড়ামোদীরা বিভক্ত হয় দুই ভাগে। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ ঘিরে সেভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েন এই উপমহাদেশের দর্শকরা। এক সময় বাংলাদেশের দর্শকদের ক্রিকেট বিনোদনের পুরোটাই ছিল ভারত-পাকিস্তানের খেলা ঘিরে। এখন নিজেদের দল হৃষ্টপুষ্ট হওয়ায় সব বিনোদন টাইগারদের ঘিরে। যদিও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আবেদন হারিয়ে যায়নি। দুই দলের লড়াইয়ে এ অঞ্চলের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও চলে আসে।

দুই দেশের ক্রিকেটারদের কাছেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে অন্যরকম উত্তেজনা। মানসিক চাপে থাকেন খেলোয়াড়রা। মুখে যুদ্ধ না, যুদ্ধ না-বললেও মনে মনে সেটাকেই বুকে ধারণ করেন দুই দেশের ক্রিকেটাররা। ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক বৈরিতার প্রভাবও পড়ে থাকে তাদের খেলার মাঠে।

বছরের শুরুর দিকে কাশ্মীর ঘিরে দুই দেশের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থাও তৈরি হয়েছিল। অভিনন্দন নামের এক ভারতীয় পাইলটকে আটক করেছিল পকিস্তান। পরে শান্তির প্রতীক হিসেবে ওই পাইলটকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে পাকিস্তান সরকার।

ম্যাচ শুরুর আগেই পাকিস্তানকে ব্যঙ্গ করে একটি বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরি করেছে স্টার স্পোর্টস। পাকিস্তানও পাল্টাপাল্টি বিজ্ঞাপন করেছে আটক ওই পাইলটের ইস্যুকে ব্যঙ্গ করে। যুদ্ধের আবহ তো থাকছেই। কাশ্মীরের ঘটনার পর এই দুই দেশের প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ যে!

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা যেমন বলেছেন, ‘এ ম্যাচে অনেক আবেগ থাকে, অনেক উত্তেজনা থাকে। কারণ, দুই দেশের মধ্যেকার রাজনৈতিক বিষয়টিও কাজ করে। আর শক্তির লড়াইটা তো থাকেই।’

দুই বছর আগে এই ইংল্যান্ডেই সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ইমরান-শচীনদের দেশ। সেটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। সেই ইংল্যান্ডে রবিবার দুই দেশ নামছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের কথা মাথায় নিয়ে। যদিও পকিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে ভারত, তিন ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে একটি। ৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে চতুর্থ স্থানে।

সে তুলনায় পাকিস্তান অনেকটা ব্যাকফুটে। চার ম্যাচের একটি জিতেছে, দুটি হেরেছে। একটি পরিত্যক্ত। ৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশেরও নিচে সরফরাজ-আমিররা। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ভারতকে হারাতেই হবে পাকিস্তানকে। কিন্তু ম্যাচটি বিশ্বকাপের বলেই ভরস পাচ্ছেন না পাকিস্তানি সমর্থকরা। বিশ্বকাপে কখনই যে ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান।

তবে কখনো হারাতে পারেনি বলে যে, এ ম্যাচেও পারবে না, তা কে জানে? কিন্তু কে হারবে, কে জিতবে, তাতো নির্ধারণ হবে খেলা হলে। যদি খেলাই না হয়? যদি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগুন উত্তেজনায় পানি ঢেলে দেয় বৃষ্টি? তাহলে পাকিস্তানেরই একটু লাভ হবে। বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের কাছে হারের দৌড়টা থামবে। আগে কখনো হার এড়াতে পারেনি তারা। বৃষ্টি যদি সেই ইতিহাস বদলে দেয়, তাহলে পাকিস্তানের জন্য তো সুখবরই। কিন্তু যে দর্শকরা অধীর অপেক্ষায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখবেন বলে, তাদের আশায় পড়বে গুড়েবালি।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print