
জামাই শশুর ও শ্যালক মিলে ইয়াবা ব্যবসার তথ্য উদঘাটন করেছে সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এই চক্রের দুই সদস্য শশুর মোঃ ইউসুফ প্রকাশ ইউসুফ জালাল (৫০) ও তার মেয়ের জামাই মোঃ আব্দুর রহিম রাজু প্রকাশ বামাইয়া রাজু (৩০)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইয়াবা পাচারকালে রবিবার (১৬ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে নগরীর পুরাতন রেলওয়ে ষ্টেশন বাগদাদ হোটেলের গলির সামনের থেকে এক হাজার ৯শ ৬৫ পিস ইয়াবাসহ শশুর ইউসুফ এবং তার স্বীকারোক্তিতে নগরীর হালিশহর থেকে জামাই আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সিন্ডিকেড সদস্য শ্যালক এনজিও কর্মী মোঃ আয়াছ (৩১)কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসীন পাঠক ডট নিউজকে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কোতোয়ালী থানার এসআই আব্দুর রব, এএসআই নাছের আহম্মদ ও এএসআই জয়নাল নেতৃত্বে পুলিশের একটি ডিউটি টিম নিউ মার্কেট এলাকায় টহলদানকালে গোপন সংবাদে জানতে পারেন পুরাতন স্টেশন এলাকায় এক মাদক পাচারকারী ইয়াবাসহ গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতে।
উত্ত সংবাদের ভিক্তিতে পুলিশ টিম দ্রুত উক্ত এলাকায় পৌছলে পুলিশ দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মোঃ ইউসুফ প্রকাশ ইউসুফ জালাল (৫০)কে আটক করে তার দেহ তল্লাশী করে লুঙ্গীর কোচার ভিতর হইতে টিস্যু ও স্ক্যচ টেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ১০টি প্যাকেট থেকে ১৯৬৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা।
পরে ধৃত ইউসূফের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে নগরীর হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার মেয়ের জামাই মোঃ আব্দুর রহিম রাজুকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফের মোঃ আয়াছ (৩১) এনজিওতে চাকুরী করার আড়ালে ইয়াবা পাচার করে চট্টগ্রামে তার ভগ্নিপতি সিএনজি চালক মোঃ আব্দুর রহিম রাজু প্রকাশ বামাইয়া রাজুর কাছে।
আর এসব ইয়াবা বহন করে পৌছে দেয় রাজুর শশুর ইউসূফ। জামাই-শশুর শ্যালকের এই সিণ্ডিকেট ইয়াবা ব্যবসা চলে অসছে দীর্ঘদিন।
এ ব্যাপারে ওসি মহসীন তার ব্যাক্তিগত মতামত ব্যাক্ত করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি লিখেছেন, কিছু ছবি লজ্জিত করে, ব্যথিত করে, বিব্রত করে। এই ছবিটা তেমনই। ১৯৬৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে রেলস্টেশন এলাকা থেকে। সম্পর্কে তারা শ্বশুর-জামাই। শ্বশুর ট্রলারে চাকুরি করেন আর জামাই সিএনজি চালান। জামাই আব্দুর রহিমের জন্য ইয়াবা পাঠায় রহিমেরই বউয়ের ভাই এনজিওকর্মী আয়াছ। আর তার বাহক হিসেবে পাঠানো হয় শ্বশুর ইউসুফ কে। সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য ২০ হাজার টাকাও দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু পাচারের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে শ্বশুর-জামাই দুজনকেই।