ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

তরুণীর গালে ‘চুমু’ দিয়ে ব্রণের চিকিৎসা করেন তিনি!

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ব্রণের ইনফেকশন দেখার ছলে রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালের এক চিকিৎসক চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. মো. শওকত হায়দারের বিরুদ্ধে গালে চুমু দেওয়াসহ যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী।

গত শনিবার (১৫ জুন) ঘটনাটি ঘটার পরে ওই তরুণী এবং ডা. মো. শওকত হায়দারের একটি অডিও ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। রোববার (১৬ জুন) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ওই অডিওটি প্রকাশ করেছে। সেই ফোনালাপে বার বার ওই চিকিৎসককে দুঃখিত বলতেও শোনা গেছে।

ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে শোনা যায়, ওই তরুণী ডাক্তারের কাছে ফোন করে চুমু দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডা. শওকত বলেন, ‘ওটা কিছু না, ইনফেকশন আছে কি না দেখছিলাম।’

পরে তরুণী বলেন, ‘এমন তো আমি কখনো দেখিনি, ইনফেকশন আছে কি না সেটা কোনো ডাক্তার কি ঠোঁট দিয়ে চেক করে?’ এ সময় ডাক্তার শওকত হায়দার ওই তরুণীকে বলেন, ‘দুঃখিত’।

ওই তরুণী জানান, পরিচিত একজনের রেফারেন্সে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্বকে ব্রণের সমস্যা নিয়ে পপুলার হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। পরবর্তীতে চিকিৎসার প্রয়োজনে আরও কয়েকবার প্রায় বাবার বয়সী চিকিৎসকের কাছে যান তিনি।

ওই তরুণীর দায়ের করা অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, কিছু দিন আগে থেকে ওই তরুণী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত শনিবার দুপুরে ওই তরুণী ডা. শওকতকে জানান তার ত্বকের সমস্যা আবার বেড়েছে, রাতে তিনি চেম্বারে বসবেন কি না? এ সময় ওই চিকিৎসক চেম্বারেই আছেন জানিয়ে মেয়েটিকে তখনই যেতে বলেন। পরে চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে ওই তরুণী জানতে চান তার সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান আছে কি না। এ সময় সেই ডা. শওকত বলেন, যদি সে চায় তবে একটা ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। তবে ইনজেকশনটি কোমরে দিতে হবে।

মেয়েটি তার অভিযোগে আরও জানায়, ইনজেকশন দিতে রাজি হয়ে রোগী দেখার টেবিলে শুয়ে পড়লে ওই চিকিৎসক মেয়েটির বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকেন। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, ‘কোথায় ইনজেকশন দিলে ভালো হয় তা চেক করে দেখছেন।’

ওই তরুণী অভিযোগ বলেছেন, চিকিৎসক ইনজেকশন দেওয়ার পর তুলা দিয়ে চেপে না ধরে না তার জামার ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেন। এ অবস্থায় মেয়েটি তাড়াতাড়ি সরে এসে ডাক্তারের ফিস দিয়ে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এ সময় সেই ডাক্তার আরেকবার তার গালের ইনফেকশনটি দেখতে চান। গাল দেখার ছলে ডা. শওকত ওই তরুণীকে চুম্বন করেন।

অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মো. শওকত হায়দারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগ বলেন, ‘এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তারা বিব্রতবোধ করছি। ওই তরুণী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print