
সরকারী একটি চাকুরি সবারই স্বপ্ন। পরিবারের একটি সন্তান যেনো সরকারী চাকুরিতে প্রবেশ করতে পারে সেই স্বপ্ন সন্তানের ছোটবেলা থেকেই পুষে রাখে অভিভাবকরা। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি পেতে চট্টগ্রামে ভিড় করছে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরস্থ জেলা পুলিশ লাইন মাঠে শুরু হয় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের শারীরিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় অংশ নিতে সকাল ৭টা থেকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনে সমবেত হয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার তরুণ-তরুণী। এদের সাথে রয়েছে হাজার হাজার অভিভাবকও।

জেলা পুলিশ লাইন ঘুরে দেখা গেছে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি পেতে চট্টগ্রাম মহানগরী ছাড়াও জেলার হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, মিরসরাই, সীতাকুন্ড, দোহাজারীসহ জেলার সব উপজেলা থেকেই তরুণ-তরুণীরা এসেছে শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নিতে।
জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, এবার চট্টগ্রাম জেলায় শুণ্যপদে ১০৪ জন পুরুষ এবং ১৮জন নারী এবং বিশেষ কোটায় অপূরণীয় পদে ৭৬৩ জন পুরুষ ২০১ জন নারী কনস্টেবল পদে রিক্রুট করা হবে। সব মিলিয়ে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের পদ সংখ্যা ১০৮৬ জন। নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ২ জুলাই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৭টা থেকেই পুলিশ লাইনে তরুণ-তরুণীদের শারিরীক পরীক্ষার জন্য প্রবেশ করানো হয়। কোটা ও শুণ্যপদ মিলিয়ে ৯ শতাধিক কনস্টেবল পদের বিপরীতে নিয়োগ পেতে ১০ হাজারেরও বেশী তরুন-তরুনী সকাল থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, উচ্চতা, ফিটনেস প্রয়োজনীয় সনদ না থাকাসহ বিবিধ কারনে অধিকাংশ প্রার্থী মুল লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ বঞ্চিত হলেও দুই হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত হতে পারে বলে ধারনা করছেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত শারীরিক পরীক্ষার কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় লিখিত পরীক্ষার জন্য কতোজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোন তথ্য জানাতে পারেনি সংশ্লিষ পুলিশ কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরুল আলম মিনা জানান, মাত্র ১০৩ টাকা খরচ করেই পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি পাবে প্রার্থীরা। এর মধ্যে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা হবে ১০০ টাকা এবং ফরমের জন্য ব্যয় করতে হবে ৩টা। এই ১০৩ টাকার বাইরে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেতে প্রার্থীদের কোন অর্থ কোথাও খরচ করতে হবে না। পুলিশ সুপার জানান, এবারের পরীক্ষায় প্রার্থীদের অভাবনীয় সাড়া মিলেছে। পুলিশে নিয়োগ নিয়ে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। কোন চক্র যাতে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে প্রার্থীদের কোন ধরনের হয়রানী করতে না পারে বা প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে না পারে এ ব্যাপারে আগাম সতর্কবার্তা ঘোষনার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারী করা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক সংস্থা এব্যাপারে সতর্ক রয়েছে।