ওজন কমাতে গিয়ে যারা নাস্তানাবুদ হচ্ছেন, তারা আসলে সবই করছেন। সমস্যা হলো সঙ্গে তারা ভুলও করছেন! যে কারণে কমছে না ওজন। বাড়ছে টেনশন। আসুন দেখে নেই কী কী ভুল করছেন আপনার ওজন কমানোর সেশনে-
খাবার নিয়ন্ত্রণে চাই দৃঢ় মনোবল।
লোভ সামলাতে না পারা
সারা সপ্তাহ ধরে ডায়েট লিস্ট অনুসরণ করলেন। কিন্তু হুট করে এক সন্ধ্যায় খেয়ে নিলেন লিস্টের বাইরে কোন ফ্যাটযুক্ত খাবার। যদি ভাবেন মাখন ও লবণ ছাড়া ‘পপকর্ণ’ খেলে কিছু হবে না তাহলে কিন্তু আপনার সারা সপ্তাহের ডায়েট পণ্ডশ্রম!
ক্যালরি পান করছেন ঠিকই
মিষ্টি পানীয় আপনার ওজন না কমার জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু। অথচ হরহামেশা খেয়েই চলেছেন। ওজন কমানোর সেশনে অবশ্যই তরল এসব পানীয় এড়িয়ে চলুন।
ব্যায়াম না করা
শুধু খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করলেই হবে না। ব্যায়াম ওজন কমানোর চমৎকার হাতিয়ার। ওজন কমিয়ে শরীরে সুন্দর শেপ পেতে ব্যায়ামের অভ্যাস করুন।
অপরিবর্তিত লাইফস্টাইল
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হয়ত কিছুদিনের জন্য আপনার ওজন কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু আবার যখন পুরোনো অভ্যাসে ফেরত যাবেন, ওজন বাড়তে থাকবে। শুধু খাবারের দিকে খেয়াল না রেখে জীবনাচরণে পরিবর্তন আনুন।
যথেষ্ট ঘুমাচ্ছেন না
সুস্থ্য শরীরের জন্য ভালো ঘুম সবচেয়ে বেশি জরুরি। অনেক গবেষণায় দেখানো হয়েছে ভালো ঘুম না হওয়া স্থুলতার প্রধান কারণ। তাই ওজন ঠিক রাখতে দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমান।
সকালে কম খাওয়া
সারাদিনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো সকালের খাবার। সকালে পুষ্টিকর খাবার খেলে সারাদিন কর্মক্ষম থাকা যায়। যদি মনে করেন ওজন ঠিক রাখতে সকালেও কম খাবেন, তাহলে সেটা ভুল!
ব্যায়ামও করেন, খানও বেশি
ভাবছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিম করে ওজন কমাবেন কিন্তু খাওয়া ছাড়বেন না। তাহলে ওজনও আপনাকে ছাড়বেনা। মনে রাখবেন, ৮০শতাংশ ওজন কমানো নির্ভর করে খাদ্যাভ্যাসে আর ২০শতাংশ ব্যায়ামে।
সালাদ-মসলা দুটোই চলে
রেষ্টুরেন্টে সালাদ অর্ডার করেন ভালো কথা। কিন্তু গোলমাল বাঁধে যখন সঙ্গে চান বারবিকিউ সস। এই অল্প পরিমাণ মসলাতেও আছে উচ্চমাত্রার ক্যালরি। তাই সালাদের সঙ্গে সসের মিশেল ছাড়ুন।
এবার প্রত্যেকদিনের রুটিনে ভুলগুলোও লিস্ট করে রাখুন। আর সহজেই কমিয়ে ফেলুন ওজন।
