ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

দোজখের ভয় দেখিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ করেন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে একটি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার হওয়ার পরদিন একই অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন নেত্রকোনার আরেক মাদরাসার প্রধান শিক্ষক।

গ্রেফতার শিক্ষকের নাম মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী। তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়ার আঠারবাড়ি এলাকার মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক বা মুহতামিম।

এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সব অভিযোগ এনেছে ওই মাদরাসায় অধ্যয়নরত আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হাত-পা টেপানোর নাম করে শিশু শিক্ষার্থীদের নিজের কক্ষে ডেকে নিতেন তিনি। এক পর্যায়ে ওই শিশুদের ধর্ষণ করতেন এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে তাদের পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁইয়ে শপথও করাতেন।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়ার দেওয়া এক ফেসবুক পোস্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এডিশনাল এসপি ক্রাইম নেত্রকোনা নামের ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া। তিনি জানান, মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদরাসাটিতে শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ জন। এদের মধ্যে ১৫ জন আবাসিক শিক্ষার্থী। মাদরাসাটির একটি কক্ষেই থাকেন এর প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের বেলালী।

এই প্রধান শিক্ষকের ঘরে রয়েছে একটি কলিংবেল। সুযোগ বুঝে দিনের যে কোনো সময় তিনি ওই কলিং বেল বাজান। এর মাধ্যমে নিজের কক্ষে হাত-পা টেপানোর জন্য ডেকে নেন পছন্দমতো কোনো ছাত্রীকে। যারা বয়সে সবাই শিশু। এরপর সেই শিশু শিক্ষার্থীকেই ধর্ষণ করেন তিনি। সবশেষে পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁইয়ে ওই ছাত্রীদের শপথ করার যেন তারা এই ঘটনা কাউকে না বলে। কাউকে বলে দিলে আল্লাহ তাদের দোজখের আগুনে পোড়াবেন।

ফলে দোজখের আগুনে পোড়ার ভয়ে শিশুরা কাউকেই কিছুই জানায় না। আর এভাবেই দিনের পর দিন আবুল খায়ের বেলালী ছাত্রীদেতর ধর্ষণ করে আসছেন।

কিন্তু শুক্রবার (৬ জুলাই) আর শেষ রক্ষা হয়নি। প্রধান শিক্ষকের অত্যাচারে অতিষ্ট এক শিক্ষার্থী তার বাড়ির লোকজনদের বিষয়টি বলে দেয়। এরপর এলাকাবাসী আটক করে ওই শিক্ষককে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। থানায় তার বিরুদ্ধে দুইটি ধর্ষণের মামলা হয়। জমা পড়ে প্রথম শ্রেণির আরও এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ।

থানায় শুরু হয় আবুল খায়ের বেলালীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অন্তত ছয় ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নেন যাদের বয়স আট থেকে ১১ বছর। মাদরাসায় তার কক্ষ থেকে কলিং বেলটিও জব্দ করা হয়। আরও তথ্যের জন্য এই শিক্ষকের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী সিলেট বালুরচর কওমি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাস করেছেন। এরপর ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এই মাদরাসা। সেখানে নিজেই প্রধান শিক্ষক হয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print